প্রতীকী চিত্র।
এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোলাঘাটের পুলশিটায়। অভিযুক্ত চার জনও নাবালক।
অভিযোগ, ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল ওই চার কিশোর। তারপরই বছর পনেরোর ওই কিশোরী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে এখন তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি। নির্যাতিতার বাবা কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর এবং ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কিশোর একই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাকি তিন অভিযুক্ত ওই ছাত্রের বন্ধু। সহপাঠী কিশোরটি প্রায়ই ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসত। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, গত ২৪ অগস্ট শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওই কিশোর বাড়িতে এসে তাঁর মেয়েকে ডেকে পুলশিটার নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে যায়। পরিকল্পনা মাফিক ততক্ষণে সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তের তিন সঙ্গী। তারপরই ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার দাবি, ‘‘মোবাইলে ধর্ষণের মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে নেয় অভিযুক্তরা। ঘটনার কথা কাউকে জানালে সেই ভিডিয়ো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।’’ ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে তাই কাউকে কিছু জানায়নি। পরে সেই রাতেই কীটনাশক খেয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশঙ্কজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে মেচেদার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সোমবার অসুস্থ অবস্থাতেই নির্যাতিতা কাগজে গোটা ঘটনা লিখে তার কাকিমাকে জানায়। ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ের সঙ্গে মূল অভিযুক্তের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের তাতে সম্মতিও ছিল। কিন্তু ছেলেটি যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে, তা তাঁরা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে ছাত্রীর পরিবারের তরফে মূল অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে ওই কিশোরের বাবা বিষয়টিতে আমল দেননি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই কিশোর ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিযুক্তের বাবার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এ দিন বিকেলে ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘প্রথমে মেয়ে কিছুই বলতে পারেনি। পরে ওর কাকিমাকে নিখে সব জানায়। আমরা অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy