দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু। খেজুরিতে। নিজস্ব চিত্র
ভাবনায় ছিল আয়লা এবং ফণী। তাই প্রথম থেকেই রক্তচক্ষু দেখালেও রাজ্য তথা জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বুলবুলের থাবায় মারাত্মক জখম হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেল পূর্ব মেদিনীপুর। যদিও যতটা প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হয়েছিল এই জেলায় ততটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক আগে থেকেই নানা সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা থেকে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ এবং ত্রাণশিবিরগুলিকে ঠিকঠাক রাখা-সহ প্রভৃতি পদক্ষেপ করা হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে সতর্ক থাকার প্রেক্ষিতে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকাল থেকেই দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করতেই দিঘা, খেজুরি সহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। দুপুরে গাড়ি নিয়ে দিঘায় পৌঁছে যান প্রবীণ সাংসদ ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী। ডিএসডি-এর প্রশাসনিক ভবনে দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে বসেন শিশির। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর এবং শঙ্করপুর এলাকায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
বাবার মতোই ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলবর্তী এলাকার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া মাত্রই কাঁথির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি-১ ব্লকের জুনপুট সহ উপকূলবর্তী একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে কাঁথি পুরসভার প্রশাসনিক ভবন থেকে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।
রবিবার নন্দীগ্রামে খোঁজখবর নেন শুভেন্দু। সেখানে গাছ পড়ে মৃত সবিতা দাসের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত খেজুরি-২ ব্লকের অরকবনিয়া, বটতলা, নিজ কসবা এলাকা ঘুরে দেখেন। বিপর্যয় মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপকে বাহবা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানতে পেরেই রাজ্য সরকার স্থানীয় প্রশাসন গুলিকে কয়েকদিন আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল। তাই গত কয়েকদিন ধরে সমস্ত এলাকাজুড়ে বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কি করণীয়, তা বুঝিয়েছিল। সেই কারণেই উপকূল এলাকার বাসিন্দারা বড় রকম কোনও বিপদের মুখে পড়েননি।’’ জেলা সিপিএমের সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলার দায়িত্ব রাজ্য সরকার এবং তার প্রশাসনের। বুলবুল ঠেকাতে প্রশাসন সেই দায়িত্বই পালন করেছে।’’ যদিও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সভাপতি (কাঁথি) অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতো সকলের মাথার উপর যদি পাকা ছাদ থাকত, তবে জেলায় কয়েকশো মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy