তমলুকে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহখানেক আগে কাঁথি পুরসভায় ‘থাবা’ বসিয়েছিলেন। এক ধাক্কায় বিদায়ী পুরবোর্ডের ১৫ জন কাউন্সিলরকে বিজেপি’তে টেনে নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তমলুকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর যোগদান কর্মসূচি ঘিরে তাই নানা জল্পনা চলছিল। তমলুক পুরবোর্ডে থাকা তৃণমূলের কতজন বিদায়ী কাউন্সির দলবদল করতে পারেন, সে দিকে নজরে ছিল রাজনৈতিক মহলের।
এ দিন অবশ্য তৃণমূলের কাউন্সিলরদের তেমন কাউকে দলবদল করতে দেখা যায়নি। উল্টে শুভেন্দু সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে দু’একজন বাদে বাকি কাউন্সিলরদের দলে না নেওয়ার বার্তা দিলেন। যা ঘিরে তমলুক শহরের রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোড়ন পড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডলের আয়োজনে যোগদান ও জনসভায় হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই পুরসভা গত নির্বাচনে হেরে চলে যেত সব। আমি শেষ মুহূর্তে নেমে রক্ষা করে দিয়েছি অনেককে। স্বীকার করতে পারেন, নাও পারেন। আমি নবারুণবাবু (বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি), সুকান্তবাবুদের (বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি) বলব, এই বিদায়ী কাউন্সিলরদের, একটা-দুটো বাদে, বাকিগুলোকে বিজেপিতে নেবেন না।’’
এর কারণ হিসাবে শুভেন্দু তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে দোকানঘর তৈরি, বিলিতে দুর্নীতি এবং পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারির অভিযোগ তুলে ধরেছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই স্টলগুলি থেকে টাকা মেরেছে। কত লক্ষ টাকা এখনও অনাদায়ী, কোটি কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ধারে, আমি সবার চিত্র জানি। এঁরা নিজেদের ওয়ার্ডে ঠিকাদারি করেছে। এই পুরসভায় পরিষেবা নেই।’’ শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তমলুকের পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘পুরসভার বিরুদ্ধে তোলা ওঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আর তিনি বিদায়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে কি বলছেন তা জানি না।’’
এ দিন শুভেন্দুর সঙ্গে সভায় ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তমলুকের বিধায়ক অশোক দিন্দা, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, জেলা বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক, মহিলা মোর্চার রাজ্য নেত্রী অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দত্ত, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস, শহর তৃণমূলের সম্পাদক আনন্দ নায়েক-সহ তৃণমূল ও সিপিআইয়ের কয়েকজন নেতা-কর্মী। যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটে তমলুক বিধানসভায় বিজেপির পাঁচ হাজার ভোট ঘাটতি ছিল। আজকের এই যোগদানের পরে তমলুক বিধানসভায় বিজেপির সেই ঘাটতি আর থাকবে না। তমলুকের বিধানসভা আসনও জিতবে বিজেপির নেতৃত্ব, এটা ধরে নিতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy