শুভেন্দু অধিকারী।
স্বাধীনতা দিবসে ফের ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচিতে পথে নামছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। অভাবী-মেধাবীদের সাহায্য, রাখি বন্ধনের পরে এ বার খাদ্যসামগ্রী বিলি করতে।
আজ, শনিবার স্বাধীনতা দিবসে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসী, লোধা-শবর মানুষদের খাদ্যসামগ্রী বিলি করবেন শুভেন্দু- অনুগামীরা। প্রস্তুতি প্রায় সারা। শুক্রবার জেলার ‘নির্দিষ্ট’ এলাকাগুলিতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছেও গিয়েছে। এর আগে গলায় শুভেন্দুর ছবি ঝুলিয়ে নানা সামাজিক কর্মসূচি করতে দেখা গিয়েছে তাঁর অনুগামীদের। সূত্রের খবর, আজ তাঁদের গলায় ‘জয় হিন্দ’ লেখা তেরঙা- প্ল্যাকার্ড থাকতে পারে।
এই শুভেন্দু-অনুগামীদের মধ্যে আছেন অমূল্য মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরিরা। সবংয়ের বাসিন্দা অমূল্য জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। দাঁতনের বাসিন্দা রমাপ্রসাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে সবংয়ে খাদ্যসামগ্রীর ৫০০টি প্যাকেট পৌঁছেছে। দাঁতনেও ৫০০টি প্যাকেট পৌঁছেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মানছেন, ‘‘মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পাঠিয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন, শনিবার আমরা ওই সব প্যাকেট আদিবাসী, লোধা-শবর মানুষদের মধ্যে বিলি করব।’’ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদের কথায়, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী জননেতা। উনি সব সময়ে মানুষের পাশে থাকেন।’’
এখন পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের কর্মসূচিতে দেখাই যায় না শুভেন্দুকে। অথচ, গত লোকসভা নির্বাচনের পরেও তিনি ঘনঘন জেলায় আসতেন। খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনেও তিনি ছিলেন দলের ‘কান্ডারী’। পরে পরিস্থিতি বদলেছে। সাম্প্রতিক পুনর্বিন্যাসে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক পদটিই তুলে দেওয়া হয়েছে। আর তাতে শুভেন্দু ক্ষমতা খর্ব হয়েছে বলেই রাজৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ। তবে দলের শীর্ষ কমিটিতে তিনি আছেন। আর জেলায় না এলেও অনুগামীদের সূত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের সঙ্গে সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে চলেছেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যে তাঁর উদ্যোগে দুঃস্থ-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান, রাখিবন্ধন কর্মসূচি প্রভৃতি হয়েছে। এ বার স্বাধীনতা দিবসে আদিবাসী, লোধা-শবরদের খাদ্যসামগ্রী বিলি হবে। করোনা-কাল। তাই বিলি হবে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, সাবানও।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য জানাচ্ছেন, দলের কর্মীদের এমন পৃথক ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচির কথা তাঁর জানা নেই। অজিত বলেন, ‘‘দলের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন হবে। বুথস্তর পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই যাবতীয় কর্মসূচি হবে। পৃথক কর্মসূচির কথা জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy