প্রতীকী ছবি।
শুক্রবারই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সভামঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছেন, এখন থেকে রোজ বিজেপির যোগদান মেলা হবে। সেই মঞ্চে হাজির থাকতেই আজ, রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলায় আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু শুভেন্দু নন, বেলিয়াবেড়া ব্লকের মহাপাল স্কুলমাঠের জনসভায় থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গত ২৮ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন শুভেন্দু। ওই দিন দলের সাংগঠনিক সভায় নেতা-কর্মীদের কথা দিয়েছিলেন, ভোটের আগে বারবার ঝাড়গ্রাম আসবেন। ইদানীং বিভিন্ন সভায় ‘দলবদলু’ নেতা এ-ও বলছেন, ‘বালুমাটির শুভেন্দু আর লালমাটির দিলীপ ঘোষ এক হয়েছি। আগামী বিধানসভায় বিজেপি জিতবেই।’ সেই মতো আজ দিলীপ-শুভেন্দু উপস্থিতিতে কারা তৃণমূল ভেঙে গেরুয়া শিবিরে আসছেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। সূত্রের খবর, আজ জঙ্গলমহলের শুভেন্দু অনুগামীরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে তৃণমূলের ঠিক কারা আসছেন, তা খোলসা করেননি বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী। সুখময় শনিবার শুধু বলেন, ‘‘রবিবার সকাল সাতটায় ঝাড়গ্রাম শহরের মডেল রোডের সিদো-কানহো মোড়ে চা-চক্র করবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপদা। দুপুরে বেলিয়াবেড়ার মহাপালে যোগদান মেলায় রাজ্য সভাপতি ও শুভেন্দুবাবু থাকবেন।’’ আর শুভেন্দু-অনুগামী শুভেন্দু ভুইয়ের বক্তব্য, ‘‘জেলায় দাদার অনুগামীরা আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন। ওই যোগদান মেলায় চমক থাকবে। তবে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’’
শুভেন্দুর সভায় কারা দলবদল করতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে তৃণমূলের শিবির ভাঙতে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছেন ‘দাদা’। জেলা ও বিভিন্ন ব্লকের তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীদের একাংশ শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। প্রকাশ্যে অবশ্য কৌশল হিসেবে তাঁরা শুভেন্দুর সমালোচনা করছেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর লোধাশুলি থেকে শুভেন্দু ঝাড়গ্রাম যাওয়ার সময়ে তৃণমূলের এমনই কয়েকজন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুভেন্দুপন্থী জেলার এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘নির্বাচন ঘোষণা হলে চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন দলবদল করলে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফাঁসানো হতে পারে। তাই আমরা সময় নিচ্ছি। শুভেন্দুও আমাদের সমস্যা বাড়াতে চান না।’’
যদিও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিরবাহা সরেন দিলীপ-শুভেন্দুর রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। বিরবাহা সরেনের দাবি, ‘‘অন্য দলের লোকজন সভা-মিছিল করতে পারেন। তবে জঙ্গলমহলের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy