নেতাইয়ের পথে বাধা পেলেন শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।
নেতাইয়ের শহিদ স্মরণে যোগ দিতে পারলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নেতাইয়ে ঢোকার আগে ঝিটকা জঙ্গলের কাছে তাঁকে পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ।
৭ জানুয়ারি অর্থাৎ, শুক্রবার লালগড়ে নেতাই গ্রামে শহিদ-স্মরণে উপস্থিত থাকা শুভেন্দুর ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। সেই অনুযায়ী, দুপুর ৩টে নাগাদ নেতাই গ্রামের কাছে পৌঁছেও যান তিনি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, পুলিশকে সব আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও তাঁকে গ্রামেই ঢুকতে দেওয়া হল না। এর পরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় শুভেন্দু বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতই আমায় নেতাই যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আদালতই বলেছে, বাংলার যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তার জন্য রাজ্যকে নিরাপত্তাও দিতে বলেছে। কিন্তু আপনারা আমাকে নির্দিষ্ট সময় দেননি। যদি কোনও সমস্যা থাকত, আগেই জানাতে পারতেন।’’
২০১১ সালে নেতাইয়ে গণহত্য়ার ঘটনার পর প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে থাকেন শুভেন্দু। এ বছর তা করতে না পারায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের ঘোষিত অনুষ্ঠান ছিল সকাল ১০টায়। নন্দীগ্রামের অনুষ্ঠান করে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুপুর ৩টে নাগাদ এলাম। তার পরেও আমায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আপনারা তো উচ্চ আদালতকেও মানছেন না।’’
এ বিষয়ে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘যে হেতু গ্রামে আর একটি অনুষ্ঠান চলছিল, তাই ওঁকে একটু অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু উনি অপেক্ষা না করেই চলে গিয়েছেন। আর যাঁরা গ্রামে আগে থেকেই ওখানে অনুষ্ঠান করছেন, তাঁদেরও তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠান শেষ করতে বলা হয়েছে।’’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিনপুর ১ ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাত বলেন, ‘‘সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নেতাই গ্রামে শহিদ দিবস পালন কর্মসূচি রয়েছে। পুলিশের অনুমতি নিয়েই শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান। শুভেন্দু অধিকারীকে কেন পুলিশ আটকেছে, তা প্রশাসন বলতে পারবে। তৃণমূলের কেউ আটকায়নি।’’
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময়ে নেতাইয়ের ২০ বছর লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy