ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দলনেতা শুভন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ফের একই অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এ দিন তিনি বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে ভেঙে যাবে।’’
শুক্রবার নন্দকুমার হাইস্কুল ময়দানে ‘সনাতনী ঐক্যমঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি নন্দকুমারের উপর দিয়ে প্রায় প্রতিদিন যাই। আমার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এরা পুলিশ আবার স্পীডো মিটার লাগিয়ে রেখেছে। আমি চলে যাওয়ার পরে তুলে নেয়। অ্যাক্সিডেন্টের জন্য নয়। আমার গতি আটকানোর জন্য। অমরনাথ কে বলি, তুমি পার না এগুলো করতে। করছ কর। অতি বাড় বেড় না, ঝড়ে ভেঙে যাবে।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে শুভেন্দুর কনভয় দু’বার অ্যাক্সিডেন্টের শিকার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে জেলার রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টের বিষয়ে পুলিশকে নজর দিতে বলেছিলেন। তাতে পুলিশের তরফে তৎপরতা দেখা গিয়েছে। পুলিশ সুপারকে ‘হুমকি’ দিতে অবশ্য শুভেন্দুকে আগেও দেখা গিয়েছে। সেবারও অমরনাথ কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শুভেন্দু-সহ ১৫ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তমলুক থানায় মামলা দায়ের করেছিল। সেটি আপাতত বিচারাধীন।
এ দিকে, এ দিনের অনুষ্ঠানস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে নন্দকুমার হাইস্কুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। ওই হাইস্কুলের কাছেই রাস্তার ধারে খুঁটিতে অনুষ্ঠান সভার মাইক বাঁধা ছিল। সকাল থেকেই সেই মাইক জোরে বাজানো হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়ে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। অভিভাবকদের একাংশ ক্ষোভও প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ‘সনাতনী ঐক্য মঞ্চে’র সভাপতি তথা নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরা এ ব্যাপারে বলছেন, ‘‘স্কুলের কাছে রাস্তায় একটি মাইক ছিল। সকাল থেকে মাইক বাজছিল। কিন্তু এদিন যে পরীক্ষা ছিল, তা আমাদের জানা ছিল না। পরীক্ষার্থীদের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা মাইকের শব্দ কমিয়ে দিয়েছিলাম।’’
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর
কোলাঘাট: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে শুক্রবার কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের হল। এফআইআর করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দে। তাঁর দাবি শুভেন্দুকে হোয়াটসঅ্যাপে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর প্রত্যুত্তরে তিনি কদর্য ভাষায় মেসেজ পাঠান। প্রসঙ্গত, মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার তমলুক সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু। পরদিনই পাল্টা অভিযোগ হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy