স্কুলের সামনে মমতা। নিজস্ব চিত্র
যাচ্ছিলেন তমুলকের নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে। মাঝ পথে মেচগ্রামে বুধবার একটি স্কুলের সামনে থামল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। ওই বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী-শিক্ষাকাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি, মমতা এদিনের স্কুলের পরিকাঠামো সম্পর্কে খোঁজ নিলেন। স্কুলভবনের চটে যাওয়া রং দেখে তিনি জানতে চাইলেন, কোনও অর্থ বরাদ্দ মিলেছে কি না? মুখ্যমন্ত্রীকে এত সামনে থেকে এ দিন উচ্ছ্বসিত স্কুলের ‘কন্যাশ্রী’রা।
তিনদিনের মেদিনীপুর সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন খড়্গপুর থেকে তমলুকের প্রশাসনিক সভায় যাওয়ার পথে মমতা যে কোনও স্কুল পরিদর্শনে যেতে পারেন, তা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস থেকে পাঁশকুড়া এলাকার স্কুলগুলিকে আগেই জানানো হয়েছিল। সেই মতো প্রস্তুত ছিল রাস্তা সংলগ্ন এলাকার স্কুলগুলি। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম পূর্ণচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের কপালে।
৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মেচগ্রাম মোড়ের অদূরে রাস্তার পাশেই রয়েছে অবস্থিত মেচগ্রাম পূর্ণচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা সাড়ে ৩০০। শিক্ষিকা রয়েছেন ১৬ জন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য রাস্তার পাশেই অপেক্ষা করছিলেন শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের একাংশ। স্কুলের দোতলা থেকে বাকি ছাত্রীরা তাকিয়ে ছিল রাস্তার দিকে। স্থানীয় সূত্রের, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ স্কুলের সামনে এসে থামে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। স্কুল ভবনের রং চটে গিয়েছে দেখে মমতা জানতে চান, কোনও সরকারি বরাদ্দ মিলেছে কি না। স্কুলের তরফে জানানো হয় যে, রং করার জন্য নতুন করে কোনও বরাদ্দ মেলেনি। তখন মুখ্যমন্ত্রী স্কুলের নাম এবং ঠিকানা নোট করে নেন সঙ্গে সঙ্গে। প্রায় পাঁচ মিনিট স্কুলে থামার পরে নিমতৌড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
এ দিন কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে উচ্ছ্বসিত ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তী চক্রবর্তীর বলে, ‘‘খুব ভাল লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পাব কোনও দিন ভাবিনি।’’ মেচগ্রাম পূর্ণচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তনুশ্রী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী স্কুলের রঙের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। সময় কম থাকায় উনি স্কুলের ভেতরে যেতে পারেননি। ওঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আমরা খুব খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy