পাতপেড়ে: স্কুলেই চলছে খাওয়াদাওয়া। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে এসে মাংস-ভাত খেয়ে বাড়ি ফিরল পড়ুয়ারা। উপলক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। উদ্যোক্তা বিজেপি।
মঙ্গলবার ছিল নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই মেদিনীপুর শহরের রামচন্দ্র বিদ্যানিকেতন প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ভোজের আয়োজন হয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম চক্রবর্তী মানছেন, ‘‘পড়ুয়ারা এ দিন স্কুলে মাংস- ভাত খেয়েছে।’’
স্কুলটি রয়েছে শহরের পাটনাবাজারের তেলিপাড়ায়। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনে এ দিন ওই স্কুলে গিয়েছিলেন এলাকার বিজেপি নেতা সোমনাথ সিংহ, অরুণ সাউ প্রমুখ। তাঁরা সঙ্গে করে পড়ুয়াদের জন্য রান্না করে মাংস-ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন। পঠনপাঠন শেষে পাত পেড়ে আলু দিয়ে মুরগির মাংসের ঝোল আর সাদা ভাত খেয়েছে পড়ুয়ারা। সোমনাথ বলছিলেন, ‘‘সীমিত সাধ্যের মধ্যে যা খাওয়ানো সম্ভব খাইয়েছি!’’ অরুণের কথায়, ‘‘মাংস-ভাত খেয়ে পড়ুয়ারা খুশি হয়েছে। এটাই প্রাপ্তি।’’
মোদীর জন্মদিনে মঙ্গলবার ট্যুইটারে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে সেই উপলক্ষে বিজেপির লোকজন স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের মাংস-ভাত খাইয়ে এসেছে শুনে ‘অবাক’ তৃণমূল! দলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বলেন কি! সত্যি না কি!’’ এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর বিশ্বেশ্বর নায়েকের মন্তব্য, ‘‘বেলার দিকে শুনলাম, বিজেপির লোকজন না কি ওই স্কুলে গিয়ে মোদীর জন্মদিন পালন করেছেন। পড়ুয়াদের মাংস-ভাত খাইয়ে এসেছেন। আমি আর কি বলব!’’
মনীষী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের জন্মদিন বিভিন্ন দিবস হিসেবে পালন করার রীতি দুনিয়া জুড়েই রয়েছে। এ দেশে বিবেকানন্দের জন্মদিনন ‘যুব দিবস’ হিসেবে, জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন ‘শিশু দিবস’, বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনকে ‘চিকিৎসক দিবস’, সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনকে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। আর এ বার মোদীর জন্মদিন সামনে রেখে দলের নির্দেশে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ‘সেবা সপ্তাহ’ পালন শুরু করেছেন। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া-শিবির। সেই মতো এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েও নানা কর্মসূচি করেছে বিজেপি। তবে স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের মাংস-ভাত খাইয়ে আসার উদ্যোগ অন্য কোথাও দেখা যায়নি।
এ দিন যে খাওয়াদাওয়া শেষে চতুর্থ শ্রেণির সুরজিৎ দে, তৃতীয় শ্রেণির তৃষা দাসরা বলছিল, ‘‘মাংসটা বেশ ভালই ছিল!’’ এলাকার বিজেপি নেতা অরুণ সাউয়ের কথায়, ‘‘স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল এখন বড় একঘেয়ে হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ দিনই পড়ুয়াদের ভাত, ডাল, তরকারি জোটে। এদিন পড়ুয়াদের মুরগির মাংসের ঝোল আর ভাত খাওয়াতে পেরে আমাদেরও খুব ভাল লাগছে।’’ ‘সেবা সপ্তাহ’ পালনে স্কুলকে বেছে নেওয়া কেন? অরুণের জবাব, ‘‘পড়ুয়াদের এ ভাবে খাওয়ানোটা তো সেবা করাই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy