ভেস্তে গেল আলোচনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর আদালতের আন্দোলনরত কর্মচারীদের এক প্রতিনিধি দল মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যান। প্রতিনিধি দলটি দাবি জানায়, যে কর্মচারীকে মেদিনীপুর থেকে দাঁতনে বদলি করা হয়েছে, তাঁর বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারক অবশ্য জানিয়ে দেন, বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে না। ফলে, মেদিনীপুর আদালতে অচলাবস্থা অব্যাহত।
এ দিন আন্দোলনরত কর্মচারীদের পক্ষে বিকাশ মজুমদার বলেন, “আন্দোলন যেমন চলছে, চলবে। এক কর্মীকে অন্যায় ভাবে বদলি করা হয়েছে। তিনি আগামী মাসেই অবসর নেবেন। আমরা দাবি করি, ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক।’’ তাঁর দাবি, বিচারক জানিয়ে দেন, বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে না। ফলে আলোচনা এগনো সম্ভব হয়নি।
কাজের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জেলা ও দায়রা বিচারককে জানিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন মেদিনীপুরও। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবীদাস মহাপাত্র বলেন, “আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব আদালতে কাজের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক। বিচারকের কাছে এই আর্জিই জানিয়েছি।”দেবীদাসবাবুর কথায়, “এই অবস্থা বেশি দিন চলতে পারে না। বিচারপ্রার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন।”
অচলাবস্থা না কাটলে এজলাসে না-যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন। অন্যতম সদস্য শান্তি দত্ত বলেন, “কর্তৃপক্ষ যদি চান, তাহলে বার অ্যাসোসিয়েশন কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। মক্কেলরা আসছেন। ফিরে যাচ্ছেন। এটা চলতে পারে না।”
গত মঙ্গলবার থেকে মেদিনীপুর আদালতে এই অচলাবস্থা চলছে। তার আগে দিন কয়েক ধরে বেশ কয়েকটি দাবিতে আদালত চত্বরে মিছিলই হচ্ছিল। প্রতীকি কর্মবিরতিও হয়। তবে এ সবের ফলে আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়নি। গত সোমবার মদনমোহন সিংহ নামে এক কর্মচারীর বদলির নির্দেশ ঘিরেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। পরের দিন অর্থাত্, মঙ্গলবার মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা। গত দু’দিনের মতো বৃহস্পতিবারও প্রায় সব এজলাসে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বেলা গড়াতে আদালত চত্বর সুনসান হয়ে যায়। যৌথ মঞ্চের দাবি, এদিন মুহুরিরাও কর্মবিরতি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy