বিদ্যুৎ নেই। পড়াশোনায় ভরসা মোমবাতি। পটাশপুরে। নিজস্ব চিত্র
দু’দিন নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টি এবং উপচে পড়া নদীর জলে বিপর্যস্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা। কোথাও জল জমে রয়েছে তো কোথাও এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎহীন।
নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। বুধবার জেলায় গড়ে ৬৪.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেই মাত্রা ছিল ৫৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অর্থাৎ দেড় দিনে জেলায় প্রায় ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একটানা বৃষ্টিতেময়না ব্লকের বলাইপণ্ডা বাজার-সহ সংলগ্ন সুদামপুর, দোনাচক, মথুরাপুর গ্রামের রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়েছে। দোকান-বাড়িঘর ডোবার হাত থেকে বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পাম্প দিয়ে জল তুলে পাশের চণ্ডীয়া নদীতে ফেলার ব্যবস্থা করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বলাইপন্ডা বাজার-সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশির ভরসা ময়না বাজার থেকে বলাইপন্ডা বাজার পর্যন্ত নিকাশি খাল। সেটি সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে। এর ফলে বৃষ্টির জল বের হতে পারছে না।
সুদামপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা সন্দীপ সামন্তের অভিযোগ, ‘‘বলাইপন্ডা থেকে ময়না খাল সংস্কারের অভাবে ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি সমস্যা হচ্ছে।’’ ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘ময়না-বলাইপণ্ডা খালের সংস্কার করার জন্য সেচ দফতরে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। ওই খাল দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা হচ্ছে।’’
নিকাশি কাজ না করার ফলে কাঁথি-১ ব্লকের বগুড়ান জলপাই গ্রামের বিস্তৃত এলাকায় ধান জমিতে জল জমেছে। পাশাপাশি, চিংড়ি চাষের নোনা জলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষ। স্থানীয় সূত্রের খবর, বড়াইপাড়া থেকে সি ডাইক পর্যন্ত এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে নেই। অভিযোগ, বছর দুয়েক ধরে ওই এলাকার বৃষ্টির জল কোনও ভাবে বেরতে পারে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার ৭০টি পরিবারকে। এ নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিতভাবে জানালেও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও সমস্যা সমাধানের জন্য সচেষ্ট হবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কাঁথি-১ এর বিডিও লিপন তালুকদার।
বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি-৩ ব্লকের কালিনগর বাজার, ফুলবাড়ি, শুনিয়া এলাকায় রসুলপুর নদীর জল বাঁধ পেরিয়ে ঢুকে যায়। পরে সেচ দফতরের আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন। রসুলপুর নদীর উল্টো দিকে খেজুরি-২ ব্লকের আলাইচক গ্রামও নদী জলে প্লাবিত হয়েছে। একাধিক পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
এদিকে, বৃষ্টি শুরু হতেই মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুৎহীন পটাশপুরে বিভিন্ন এলাকা। অভিযোগ, বিদ্যুৎহীন রয়েছে পটাশপুর-১ ব্লকের অমরপুর, গোকুলপুর, সাতবাহিনী, ডাঙ্গরতুলশি, টাকাবেড়িয়া-সহ একাধিক গ্রাম। পটাশপুর থানা এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা নির্ভর করে সিংদা সাব স্টেশন এবং সাউত খণ্ড সাব স্টেশনের উপর। বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে গ্রামগুলিতে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ দফতরের তমলুক শাখার রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামলকুমার হাজরা জানান, ‘‘এত দিন ওই এলাকায় বিদ্যুত না থাকার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy