রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে এভাবেই। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার দু’প্রান্তে পিচ হয়েছে। অথচ মাঝের ৫০ মিটার অংশে পিচ হয়নি। বেহাল খন্দপথে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ঝাড়গ্রাম শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবডিহি এলাকার রাজাবুড়ার মাঠ সংলগ্ন ওই রাস্তাটি কেটে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দার একাংশ। শনিবার রাতে রাস্তাটি কেটে দিয়ে তার উপর ফেলে রাখা হয়েছে শুকনো গাছের ডাল। ওই রাস্তার একটি কালভার্টের স্ল্যাবগুলিও খুলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ফলে, ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বছর দু’য়েক আগে এলাকার ওই কাঁচা রাস্তাটি পিচের হয়েছে। রাস্তার ধারে পাকা নর্দমা তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাজাবুড়ার মাঠ সংলগ্ন রাস্তাটির ৫০ মিটার অংশে কোনও কাজ করা যায়নি। কারণ, ওই অংশের কাজ করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ত দফতরের কর্মী পার্থসারথি মণ্ডলের বাড়ির পাঁচিল ভাঙতে হবে।
পার্থবাবুর দাবি, তাঁর মায়ের নামের বৈধ রায়তি জমিতে তিনি বাড়ি তৈরি করেছেন। পাঁচিলটিও রায়তি জমিতেই রয়েছে। যদিও পুর-কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, সরকারি নর্দমার জায়গা দখল করেই পাঁচিলটি তৈরি করা হয়েছে। ফলে রাস্তাটির মাঝের ওইটুকু অংশে পিচ করা যাচ্ছে না। নর্দমাও তৈরি করা যাচ্ছে না। সমস্যা মেটানোর জন্য একাধিক বার পার্থবাবুর সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
গত জুনে পার্থবাবুর মা মমতাদেবী নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিবের কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। মমতাদেবীর দাবি, তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তাটি দীর্ঘ দু’বছর ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। কী কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। মমতাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পার্থবাবু সরকারি কর্মী হওয়ায় তাঁর বক্তব্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-কাউন্সিলর কবিতা ঘোষ বলেন, “এটি দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়। বিষয়টি পুরপ্রধানকে জানিয়েছি।” ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুগের্শ মল্লদেব বলেন, “সরকারি নদর্মার জায়গা দখল করে ওই পাঁচিলটি তৈরি হয়েছে। আগের পুরবোডের্র আমল থেকে সমস্যাটি জিইয়ে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy