প্রতীকী ছবি।
প্রসূতির চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর ও নার্সকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
শনিবার গভীর রাতে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। অভিযোগ হামলার সময় হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখা মেলেনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ অক্টোবর গোপীনাথপুর এলাকার এক প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তির পরে সবকিছু ঠিক ছিল। ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে রোগীর অস্বাভাবিক দেখা দেয়। পরিস্থিতি আশঙ্কজনক দেখে চিকিৎসকেরা রোগীকে অন্যত্র ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেন। অভিযোগ, চিকিৎসকেরা রোগীকে রেফার করতে চাইলেও রোগীর পরিবার ওই হাসপাতালেই রোগীকে রাখতে চায়। এর পর রাতে সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রসূতির অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে দ্রুত রেফার করেন। এরপরেই রোগীর পরিবারের লোকজন চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রোগীর সঙ্গে এক নার্সকে তমলুক হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রোগীর পরিবার চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। দাবি না মানায় রোগীর বাড়ির লোকজন কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে ঘুসি, চড় মারে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে নার্সদেরও হেনস্থা করা হয়।
হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররাও সেদিন ডিউটিতে ছিলেন বলে হাসপাতল সূত্রে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ফোন করলেও সাড়া মেলেনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যদিও পরে ভগবানপুর থানার পুলিশ হাসপাতাল আসে। ঘটনার পরে রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে যায় তাঁর পরিবার। পরে চণ্ডীপুরে এক নার্সিংহোমে ওই প্রসূতি মৃত শিশু প্রসব করেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সমস্ত ঘটনা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের পক্ষ থেকে জেলা ও মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে। তবে থানায় রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোগীর পরিবারের দাবি, ‘‘চিকিৎসকের গাফিলতিতে গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে চিকিৎসককে মারধর করা হয়নি।’’
এগরা মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাঞ্জন মান্না বলেন, ‘‘প্রসূতিকে রেফার করার ঘটনায় হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধর করে কিছু লোকজন। পুরো ঘটনা জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy