প্রতীকী ছবি।
রামনগর-১ ব্লক এলাকায় এবার কাটমানি নিয়ে পোস্টার পড়ল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার সেই পোস্টার ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে। মন্দারমণি কোস্টাল থানা এলাকার তালগাছাড়ি-২ অঞ্চলের যোশীপুর সংসদের তৃণমূল বুথ সভাপতি সুভাষ জানার বিরুদ্ধে ওই পোস্টার কারা দিয়েছে তা জানা যায়নি। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে অবন্তী ওঝার কাছ থেকে কাটমানির টাকা নিয়েছে কে ? (২০০০০)। সুভাষ জানা আবার কে। সেই কাটমানির টাকা নিয়ে প্লেনে চেপে গোয়া বেড়াতে গেছে কে ? সুভাষ জানা আবার কে।’’
সুভাষ জানা অবশ্য এই পোস্টারকে ‘বিজেপির চক্রান্ত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এক আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছি। বাড়ি ফিরেই এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাবো। বিজেপির কিছু স্থানীয় নেতা তৃণমূল নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন পোস্টারের সাহায্য নিচ্ছে। বছর চারেক আগে বন্ধুদের সঙ্গে গোয়া গিয়েছিলাম। সে বিষয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। প্রয়োজনে গোপালপুরের বাসিন্দা অবন্তী ওঝাকে সকলের সামনে এনে আসল সত্য প্রকাশ করব।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুভাষ যোশীপুর বুথে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ভোটে হেরে যান। বুধবার গোটা এলাকা জুড়েই পোস্টার পড়ে। খোদ সুভাষ জানার বাড়ির দেওয়ালেও পোস্টার পড়ে। তবে এই প্রথম নয়। মাসখানেক আগেও সুভাষের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি। তা নিয়ে যোশীপুরের এক বাসিন্দা গত ১৯ জুলাই রামনগর-১ ব্লকে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সে বার ভুয়ো মাস্টার রোল করে ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ জমা পড়েছিল বিডিওর কাছে। অভিযোগ কপি পাঠানো হয়েছিল কাঁথির মহকুমা শাসক, জেলাশাসক, এমন কি নবান্নেও।
রামনগর-১ ব্লক বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাটমানির এই পোস্টার নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দাবিতে ২ অগস্ট তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েত দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে তৃণমূলের রামনগর-১ ব্লক সভাপতি নিতাই সার বলেন, “যাঁর টাকা নিয়েছে বলে পোস্টার পড়েছে, তিনি নিজে কোনও অভিযোগ করেননি। অথচ কে বা কারা রাতের অন্ধকারে গুজব ছড়াতে এমন পোস্টার লাগাচ্ছে। আসলে তৃণমূল এই এলাকায় ব্ল্যাকমানি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। চলছে জনসংযোগ যাত্রা। তাই সকলের নজর ঘুরিয়ে দিতে ও তৃণমূল নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন পোস্টার লাগাচ্ছে বিজেপি।’’
কাটমানির পোস্টার প্রসঙ্গে রামনগর-১ এর বিডিও আশিস কুমার রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy