ফাইল চিত্র।
শিল্পশহরে শেষ কর্মসূচি করেছিলেন প্রায় দু’বছর আগে ২০১৯ সালে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওই কর্মসূচিতে আসা বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকদের ‘বিপাকে’ ফেলতে সে বার হলদিয়া শহরে সভাস্থলের কাছে সমস্ত দোকান তৃণমূল নেতৃত্ব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার অবশ্য মোদীর কর্মসূচির দিন সৌজন্য দেখাবে তৃণমূল, শিল্পশহরের তৃণমূল নেতৃত্ব অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের ৬ মে নির্বাচনী প্রচারে হলদিয়া এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সে সময় বিজেপি অভিযোগ করে, মোহনা মার্কেট এবং আপনি মার্কেটে দোকানপাট তৃণমূল নেতাদের কথায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। যা তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে দাবি। এর ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছিলেন।
এবারের ছবিটা একদম উল্টো। স্থানীয় দোকানদারদের দাবি, তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই রবিবার দোকানদারেরা দোকানপাট খুলে রাখবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আপনি মার্কেটের একটি খাবারের দোকানের মালিক বলেন, ‘‘আগের বার প্রধানমন্ত্রী আসার দিন আমাদের হোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রবিবার দোকান খোলা রাখার নির্দেশ এসেছে। যে পরিমাণ লোক আসবে, তাতে আশা
করছি আমাদের মার্কেটে সব দোকানের ভাল ব্যবসা হবে।’’
তৃণমূলের দাবি, সেই সময় হলদিয়ায় একছত্র আধিপত্য ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু। তিনিই তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে স্থানীয় দোকানদারদের ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে স্থানীয় অন্য তৃণমূল নেতাদের কোন হাত ছিল না। তৃণমূলের হলদিয়া শহর ব্লক সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল জানে সৌজন্যের রাজনীতি কাকে বলে। আগে যিনি হলদিয়ায় রাজত্ব করতেন, তিনি ভিতরে ভিতরে তৃণমূলকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেগিয়েছেন। তিনি বিজেপিতে যাওয়ায় তৃণমূলের ভালই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন এলাকার সব দোকান খোলা থাকবে। মানুষ অসুবিধার মধ্যে পড়বে, এ রকম কোনও কাজ তৃণমূল সমর্থন করে না।’’ এ দিকে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩ জানুয়ারি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস উদযাপনে তিনি এবং মোদী এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। সেখানে দর্শকাসনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে মমতা বক্তৃতা না করেই মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন। সৌজন্যর রাজনীতিতে এবার তিনি মোদীর সরকারি কর্মসূচিতে যান কি না, সে দিকেও নজর রয়েছে।
এ দিন মোদীর সভাস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি নিজে ফোন করেছিলাম। হয়তো উনি ব্যস্ত ছিলেন, তাই কথা বলতে পারেননি। বাংলার আশা করি উন্নয়নের স্বার্থে উনি আসবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy