বাছুরডোবায় জঙ্গলমহল উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ ।
করোনা আবহেই এ বার হচ্ছে সপ্তম বর্ষের রাজ্যস্তরীয় জঙ্গলমহল উৎসব। জাঁকও কমছে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় ননীবালা স্কুল মাঠে উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে উৎসবের ট্যাবলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করান ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস। ছিলেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রশান্ত রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) দীপনারায়ণ ঘোষ প্রমুখ। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক উত্তম অধিকারী জানান, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীন পাঁচ জেলায় ট্যাবলোটি ঘুরবে।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে প্রতিবার রাজ্য স্তরের জঙ্গলমহল উৎসব ঝাড়গ্রামেই হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই উৎসব হয়েছে কুমুদকুমারী স্কুল মাঠে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের ৩২ লক্ষ টাকায় ওই মাঠ সংস্কার করে ঘাস রোপণের পরে সেখানে উৎসবের আয়োজন ঘিরে গত বছর বির্তক দেখা দেয়। তারপর গত বছরই উৎসবে স্থান বদলে হয় ননীবালা স্কুল মাঠ।
গত বছরের মতো এ বারও ২০ জানুয়ারি উৎসব শুরু হচ্ছে। গত বার ছিল ছ’দিনের, এ বার ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আটদিনের উৎসব। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাজেট সব মিলিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক উত্তম অধিকারী বলেন, ‘‘গত বারের মতো এবারও উৎসব প্রাঙ্গণে থাকবে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আওতাধীন পাঁচটি জেলার প্যাভেলিয়ন। থাকবে ৪২টি সরকারি বিভিন্ন দফতরের স্টল। কারিগরি হাটে পশ্চিমাঞ্চলের হস্তশিল্পী ও কারুশিল্পীদের তৈরি সামগ্রীর ১৩০টি স্টল থাকবে। ২০ জানুয়ারি পার্থ চট্টোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন।’’
এ বারও লেজ়ার শো হবে। পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি জেলার সাড়ে সাতশোরও বেশি লোকসংস্কৃতি দলের প্রায় আট হাজার লোকশিল্পী যোগ দেবেন। জঙ্গলমহল ও কলকাতার প্রখ্যাত লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠানও থাকবে। সূত্রের খবর, সূচনার দিনে বেশ কিছু লোকসাংস্কৃতিক দলকে বাদ্যযন্ত্র দেবেন পার্থ।
এমন জমকালো আয়োজন ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘উৎসবের আড়ালে এটা কার্যত বিভিন্ন মহলকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি ও কাটমানি খাওয়ার ব্যবস্থা।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কেরও বক্তব্য, ‘‘কিছু ঠিকাদার ও শাসকদলের লোকজনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য করোনা আবহেও কয়েক কোটি টাকার মোচ্ছব হচ্ছে।’’
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক উত্তম অবশ্য বলেন, ‘‘প্রতিদিন উৎসব প্রাঙ্গণ ও স্টলগুলি জীবাণুমুক্ত করা হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারেরও ব্যবস্থা রাখা হবে। আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুর বক্তব্য, ‘‘উৎসবের আঙিনায় উন্নয়নের প্রতিফলনই দেখা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy