—ফাইল চিত্র।
আগের হোম টাস্ক শেষ হতে না হতেই ফের নতুন হোম টাস্ক। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে জনসংযোগে তাঁকে একদফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিধায়কের ফোনে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ পাঠায় টিম পিকে। সেখানে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে কী কী করতে হবে তা বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবে শুধু হোয়াটস অ্যাপ মেসেজই নয়, শুক্রবার সকালে প্রশান্তের অফিস থেকে নাকি ফোনও পান বিধায়ক। সেই ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, গড়বেতার বিধায়কের প্রথম পর্যায়ের কাজে তাঁরা খুশি। তাই তাঁকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ দেওয়া হল। বিধায়কের দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে আমার হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ আসে। সেখানে দিদিকে বলোর দ্বিতীয় পর্যায়ে কী করতে হবে সেটা বলা হয়েছে। শুক্রবার আমার মোবাইলে ফোন করেও বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়। দিদিকে বলো কর্মসূচিতে আমার কাজ দেখে তাঁরা যে সন্তুষ্ট সেটাও ফোনে জানিয়েছেন।’’
বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পর্যায়ে তাঁকে লাপুড়িয়া ও খড়কুশমা দু’টি গ্রামে যেতে পারে। লাপুড়িয়া গ্রামের ২টি ও খড়কুশমায় ৪টি বাড়িতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাঁদের বাড়িতে যেতে হবে তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। প্রথম বারের মতোই এবারও গ্রামে থেকে খাওয়াদাওয়া ও দলীয় পতাকা তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশিসের দাবি, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে তাঁকে ১২-১৩ অগস্টের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে তাঁকে গ্রামের ঘোরার প্রয়োজনীয় কিটসগুলো নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার কলকাতা গিয়ে সেগুলো নিয়ে আসবেন। ১৬ অগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করবেন।
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পরে বিধায়কদের জনসংযোগের ঘাটতির বিষয়টি সামনে এসেছিল। বিভিন্ন দলীয় বৈঠকে বিধায়কদের এই নিয়ে সতর্কও করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচিতে বিধায়ক এবং দলের নেতাদের বাছাই করা গ্রামে গিয়ে রাতে থেকে জনসংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এই কর্মসূচির মূল ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের। প্রথম পর্যায়ে ভেদুয়া গ্রামে গিয়ে আশিসকে শুনতে হয়েছিল, এতদিন গ্রামে কেন আসেননি? ফতেসিংহপুর গ্রামে গিয়ে শুনতে হয়, ‘দিদি ভালো, আপনারাই খারাপ’। বিধায়ক জানান, প্রথম পর্যায়ে গ্রাম সফরের ৩৬টি ছবি প্রশান্ত কিশোরের সংস্থায় হোয়াটস অ্যাপ করে পাঠান তিনি। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁকে যে দু’টি গ্রামে যেতে হবে সেখানে লোকসভা ভোটে ‘লিড’ পেয়েছে বিজেপি।
বিধায়কের কথায়, ‘‘মানুষ কেন মুখ ঘোরাচ্ছে সেটা মানুষের কাছ থেকেই জানতে হবে। তাই গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা। গড়বেতার মানুষ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy