মাঝ পথেই বন্ধ প্রাচীর সংস্কারের কাজ। নিজস্ব চিত্র।
ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে জুন মাস উল্টে এসেছে জুলাই। আদর্শ নির্বাচন বিধি উঠে গিয়েছে মাসখানেক আগে। তবু ছন্নছাড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে নির্বাচনের জন্য নানা কাজে ব্যবহৃত কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে, শ্রেণিকক্ষ,খেলাধুলার মাঠ কোনও কিছুই আগের অবস্থায় নেই। সংস্কারের জন্য বারবার দাবি জানিয়েও কিছু হয়নি বলে অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা কিংবা বিধানসভা অথবা লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণকেন্দ্র হয় কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে। একই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য স্ট্রংরুম করা হয় এই কলেজে। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে গত জুনে। গত ৯ জুন নির্বাচন কমিশনের তরফে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে কলেজ হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শ্রেণিকক্ষ, খেলাধুলার মাঠ সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাতানুকূল যন্ত্র বসানোর জন্য দেওয়ালে নানা জায়গাতে গর্ত করা হয়েছে।কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে থাকা বিশাল বাগানও ক্ষতিগ্রস্ত। পাশাপাশি কলেজ মাঠ জুড়ে নানা জায়গাতে প্রাচীরের ভাঙা অংশ ছড়িয়ে রয়েছে।
গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় লোকসভা ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর কাঁথি লোকসভা এলাকায় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত বাস, লরি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে একশোর বেশি গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছিল কলেজের মাঠে। তার জন্য মাঠের দুদিকে প্রাচীর ভাঙা হয়েছিল। সেই প্রাচীরটুকু সংস্কার করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, যে সব স্কুল কিংবা কলেজ ব্যবহার করা হয় সেগুলি নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ ক্ষেত্রে তার আগেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের তরফে। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে বলছেন,"গত ৯ জুন কলেজের যাবতীয় চাবি আমরা পেয়েছি। কিন্তু তার পরেও কলেজ ক্যাম্পাস, শ্রেণিকক্ষ, মাঠ সবকিছুই অবব্যবহারযোগ্য এবং ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জেলা প্রশাসন কিংবা মহকুমা শাসককে জানিয়েও কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছি।’’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ফোন করা হয় কাঁথির মহকুমা শাসক শৌভিক ভট্টাচার্যকে। তার ফোন পরিষেবা সীমার বাইরে থাকায় জানা সম্ভব হয়নি। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘‘সবে মাত্র জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy