পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অদূরে রাস্তায় পড়ে পিপিই।
জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু তারপরেও সচেতনতার অভাব জেলা জুড়েই। এই অবস্থায় জেলায় গত রবিবার থেকে ১১ অগস্ট পর্যন্ত কোনও গণ্ডিবদ্ধ এলাকা না থাকার প্রশাসনিক নির্দেশ এবং লকডাউন না থাকা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ও লকডাউন না থাকার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির মানুষের অসচেতনতার যথেচ্ছাচার নিয়েও। এ দিন পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অদূরে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত পিপিই-র অংশ বিশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে পুলিশের নজরদারিও প্রশ্নের মুখে।
জেলায় ৯ থেকে ১১ অগস্ট কোনও গণ্ডিবদ্ধ এলাকা থাকছে না বলে নির্দেশিকা দিয়েছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। ওই সময় জেলায় কোনও এলাকাতেই হয়নি লকডাউনও। এর ফলে জেলার বিভিন্ন বাজারে আগের মতোই ভিড় করতে শুরু করেন বাসিন্দারা। তমলুক শহর হোক বা শহর লাগোয়া চণ্ডীপুর, ময়না, বলাইপণ্ডা বাজার— ছবিটা সর্বত্রই ছিল এক। তমলুক পুরসভায় বাজার খোলা-বন্ধের নির্ধারিত সময় এখনও নেই। ফলে সপ্তাহান্তে এবং সপ্তাহের প্রথম দিন জেলা সদরের বড়বাজারে যথেষ্ট ভিড় দেখা গিয়েছে। মাস্ক ছাড়াও বহু লোককে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতেও দেখা গিয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোথাও পুলিশকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। তমলুকের পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন,‘‘জন্মাষ্টমীর জন্য এই দু’দিন ভিড় হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, কিছু মানুষ নিয়ম মানছেন না। আমরা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, পুলিশের তরফে নিয়মিত টহল চলছে। জমায়েতের খবর পেলেই পুলিশ গিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে।’’
গত এক সপ্তাহ ধরে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চলছে করোনার র্যাপিড টেস্ট। টেস্ট শুরু হওয়ায় পাঁশকুড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালের পাশাপাশি করোনা সংক্রমিত এলাকায় গিয়েও চলছে। এদিন পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অদূরে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত পিপিই-র অংশ বিশেষ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় শোরগোল পড়ে। হাসপাতালের সুপার শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, ‘‘কোনও অ্যাম্বুল্যান্স চালক রাস্তার ধারে ওই পিপিই ফেলে থাকতে পারেন। এটা হওয়া উচিত নয়।’’ পড়ে থাকা ওই পিপিই সরাতে রাত পর্যম্ত প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার মেচগ্রামের বড়মা কোভিড হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দু’জন করোনা আক্রান্তের। পাশাপাশি এদিন করোনামুক্ত হয়ে বড়মা থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩ জন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন ৫১ জন।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy