চন্দ্রকোনা রোডের আনাজ বাজারে অভিযান। নিজস্ব চিত্র
সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও আলু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে তাই অভিযান শুরু হয়েছে। এর আগে চন্দ্রকোনা রোডে পুলিশ ও কৃষি দফতর যৌথভাবে হিমঘর গুলিতে আলুর মজুত দেখতে অভিযান চালিয়েছে। এ বার খোলা বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগী হল পুলিশ। সোমবার সকালে চন্দ্রকোনা রোডে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের সামনে দৈনিক আনাজ বাজারে হানা দেয় পুলিশ। বাজারের খুচরো বিক্রেতাদের কাছে আলুর দর জানতে চান পুলিশকর্মীরা। কয়েকজন বিক্রেতা ৩৫ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি করায় ধমক খান। তাঁদের রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য নিতে বলে পুলিশ। পুলিশকর্মীরা কথা বলেন ক্রেতাদের সঙ্গে। এ দিন খুচরো বাজারে আলুর দাম কত তা লিখেও নিয়েছে পুলিশ।
খুচরো বাজারে আলুর দাম কমার লক্ষণই নেই। এখনও চন্দ্রকোনা রোড, গড়বেতা ও তার আশেপাশের এলাকায় প্রতি কিলো আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকায়। খুচরো বাজারে এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আনাজ বাজার, দৈনিক বাজারগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন। এ দিন চন্দ্রকোনা রোডের বাজারে সে রকমই নজরদারি চালানো হয় বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এখানকার ছোট ও খুচরো আলু বিক্রেতাদের যুক্তি, হিমঘর বা মহাজনদের কাছ থেকে আমাদের ২৮-৩০ টাকা কিলো দরে আলু কিনতে হচ্ছে, সেখান থেকে পচে বা নষ্ট হয় কিছু, তাছাড়া হিমঘর থেকে আনার খরচও আছে। তাঁদের অভিযোগ, বড় বড় ব্যবসায়ী বা মহাজনদের কারবার বন্ধ না করে ছোট ও ক্ষুদ্র খুচরো বিক্রেতাদের অযথা হয়রান করা হচ্ছে।
এ দিন সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সুলভ মূল্যে আলু বিক্রিও শুরু হল গড়বেতার আমলাগোড়ায়। আমলাগোড়া আলু ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে সমিতির কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙিয়ে কিলো প্রতি ২৭ টাকা দরে আলু বিক্রি করা শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে সেখানে। আমলাগোড়া আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা দেবকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘রোজ সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আলু বিক্রি করা হচ্ছে ২৭ টাকা কিলো দরে। এখন টানা চলবে এই সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy