শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর থানায়। পঞ্চায়েত ভোটের দিন মোহনপুর থানার রামপুরা এলাকায় ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্ররোচনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এফআইআরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০৯, ১২০বি, ১৫৩, ১৫৩এ, ১৭১এফ, ১৭১জি, ৩৫৩, ৫০৫(১) এবং ৫০৫(২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের রিট পিটিশনের ভিত্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর থানায় শুভেন্দু অধিকারীর নামে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাই কোর্ট জানিয়েছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। শুভেন্দুর ‘রক্ষাকবচ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাক্রমে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার ক্ষেত্রে আগে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে যেন এফআইআর না করা হয়, সেটিও জানিয়েছিলেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়। আদালত আরও জানায়, পুলিশ তার ক্ষমতা যেন যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করে এবং সচেতন ভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে। তার পর যদি মনে হয়, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে এফআইআর করতে কোনও সমস্যা নেই। তবে এফআইআর করা মানেই যে গ্রেফতারি নয়, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত। গ্রেফতারির প্রয়োজন মনে করলে আদালতে আসতে হবে পুলিশকে। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক সভা থেকে শাসকদলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়ম দেখলে ভোটবাক্স জলে ফেলে দিন। পরেও তিনি বলেছেন, ‘‘আমি তো বলে দিয়েছিলাম, যেখানে যেখানে ছাপ্পা ভোট হবে, সেখানে ব্যালট বাক্স নিয়ে পুকুরে ফেলে দেবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy