ডেবরার ব্লক অফিসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
আবাস প্লাসের তালিকায় কারচুপির অভিযোগে খড়্গপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেক তৃণমূল কর্মীও।
মঙ্গলবার ডেবরার সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে জমায়েত করেন তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ। আবাস তালিকায় কীভাবে বিত্তবানদের নাম এসেছে সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন তাঁরা। বাড়ি থাকা সত্ত্বেও সেসব নাম তালিকায় এসেছে তা বাদ দেওয়ার দাবি জানান। তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কিছু লোক ভুল বুঝে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে চলে গিয়ে তালিকা চাইছিল। কেন বাড়ি পাবে না সেই প্রশ্ন তুলছিল। আমি ওঁদের বুঝিয়ে বিডিওতে পাঠিয়েছি। যোগ্য ব্যক্তি ছাড়া সকলে তো বাড়ি পাবেন না। কিন্তু আমরাও বলেছি যেন প্রকৃত গরিবের নাম বাদ না যায়।” ডুঁয়া পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সত্যপুর ও ডুঁয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা ব্লক অফিসে (বিডিও) যান। বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত বলেন, “যারা এসেছিলেন তাঁদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে। আমরা জেলার সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।”
পিংলার পিণ্ডরুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেও বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে যান বিডিও বিশ্বরঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “পিণ্ডরুইতে কিছু মানুষ ভুল বুঝে জড়ো হয়েছিলেন। আমি ওঁদের অভিযোগ শুনে প্রকৃত ঘটনা জানিয়েছি। আসলে এক জবকার্ডে একাধিক লোক বাড়ি পাবেন না।’’ এ দিন খড়্গপুর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা ব্লক অফিসে গিয়ে বাড়ি থাকা সত্ত্বেও যেসব নাম এসেছে তা বাদ দেওয়ার দাবি জানান। সেখানকার বিডিও সন্দীপ মিশ্র বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা আবাস প্লাসের বিষয়টি বুঝতে এসেছিলেন। আমি তাঁদের প্রকৃত ঘটনা বুঝিয়েছে।”
যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আবাস প্লাসের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে এদিন কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি পঞ্চায়েতের সামনেও বিক্ষোভ দেখান অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা অসঙ্গতিপূর্ণ। অনেকের পাকা বাড়ি ও চাকরি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম আছে। অথচ প্রকৃত দরিদ্রদের অনেকের নাম নেই। অনেকের নাম আগের তালিকায় থাকলেও সমীক্ষার পরে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুনরায় সমীক্ষা করে নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। অভিযোগ, লিখিত আবেদন দিতে চাইলেও ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পাখি রাউত তা গ্রহণ করেননি। বিক্ষোভের মাঝে কথা না শুনে তিনি অফিস থেকে চলে যান। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ে। প্রধান বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু করার নেই। পঞ্চায়েত প্রশাসন সমীক্ষা করেনি। যাঁরা সমীক্ষা করেছেন, তাঁরা যাঁদের যোগ্য মনে করেছেন তাঁদের নাম রেখেছেন।’’ একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ‘‘যাঁরা বিক্ষোভে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই আগে বাড়ি পেয়েছেন।’’
বাঘাস্তি পঞ্চায়েতের এক আধিকারিকও জানান, আগে নিজে বা পরিবারের কেউ আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন, এমন অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। আগের তালিকায় ৩৭০০ জনের নাম ছিল। সমীক্ষার পরে ২৭৯০ জনের তালিকা তৈরি হয়েছে। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy