Advertisement
E-Paper

পথেই বিপদ, প্রমোদতরী অথৈ জলে

ইতিপূর্বে কলকাতায় গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরী ভেসেছে। আর ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে প্রমোদতরীটি দুর্গাপুজোর আগে পৌঁছেছে দিঘায়।

ভাঙাচোরা রাস্তা আর জেটির জন্যই থমকে প্রমোদতরী।

ভাঙাচোরা রাস্তা আর জেটির জন্যই থমকে প্রমোদতরী। —নিজস্ব চিত্র।

কেশব মান্না

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:০৮
Share
Save

জেটি পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা বিপজ্জনক। জেটিও জীর্ণ। তাই সৈকত নগরী দিঘায় প্রমোদতরী চালু আপাতত অথৈ জলে।

তাইল্যান্ডের চাও ফ্রায়া নদীতে লাক্সারি ক্রুজ়ে চেপে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয় পর্যটকদের। সেই ঢঙে তবে সামান্য খরচে প্রমোদতরীর বিনোদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পিপিপি মডেলে প্রমোদতরী চালাবে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। নতুন বছরেই সৈকত শহরে তা চালু হওয়ার কথা ছিল। প্রমোদতরীর সাজসজ্জা প্রায় শেষ। দ্বিতীয় বারের ট্রায়ালও সম্পন্ন। ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন জেটি থেকে নদী পথে শঙ্করপুর বন্দর এবং দিঘা মোহনা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ জলপথে প্রমোদতরীর ট্রায়াল হয়েছে। নদীপথে কতটা সুরক্ষিত নতুন এই জলযান, তা খতিয়ে দেখেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

ইতিপূর্বে কলকাতায় গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরী ভেসেছে। আর ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে প্রমোদতরীটি দুর্গাপুজোর আগে পৌঁছেছে দিঘায়। রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ এই জলযানটি দেওয়া হয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে। তার আগে জলযানটি হলদিয়াতে চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে পর্যটকের চাহিদা ছিল না। সম্প্রতি তা দিঘায় পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, পুজোর মরসুমে চালানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে জেটি এবং জলযানে ওঠা-নামার রাস্তা নির্মাণের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে এই পরিষেবা চালানো হবে। এ জন্য একটি ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে।

পর্ষদ সূত্রের খবর, প্রমোদতরী চালানোর দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে তার জন্য একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। ক্রুজ চালানোর দক্ষতা রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার জমা দেয়। কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরে প্রমোদতরী চালানোর জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জলযানটির উপরে কলকাতায় বিশ্ববাংলা গেটের আদলে অবয়ব তৈরি করা হচ্ছে। বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সাউন্ড এবং লাইট সিস্টেম। বসবে নাচ -গানের আসর। থাকছে খাওয়ার ব্যবস্থা।

যদিও প্রমোদতরী কবে থেকে চলবে, তা নিশ্চিত নয়। ন্যায়কালি মন্দির পর্যন্ত রাস্তা পাকা। সেখান থেকে মোরামের রাস্তা সেতুর নীচ অবধি এসে থেমেছে। তারপর মাটির রাস্তা গিয়েছে লোহার জেটি পর্যন্ত। সেই কাঁচা রাস্তার ভঙ্গুর দশা। সেখানে যাওয়াই বিপজ্জনক। রাস্তা গিয়েছে সেচ দফতরের বাঁধের উপর দিয়ে। সেই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দফতরের।

তা ছাড়া, বাঁধ থেকে লোহার জেটি পর্যন্ত পথও বিপজ্জনক। জেটিতেও মরচে পড়েছে। তা কতটা ভার বহন করতে পারবে তা প্রশাসনের অজানা। সব মিলিয়ে প্রমোদতরী চালানো হবে না বলে স্থির করেছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তনবীর আফজল বলেছেন, ‘‘নতুন করে জেটি শনাক্তকরণ চলছে। তারপর দিঘায় প্রমোদতরী চালু
করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

digha tourism

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}