প্লাস্টিক নয়। জিনিস বিক্রি হচ্ছে পরিবেশ সহায়ক ব্যাগে। নিজস্ব চিত্র
বিধি রয়েছে। রয়েছে নজরদারিও। তা সত্ত্বেও প্লাস্টিক মুক্ত হচ্ছে না সৈকত শহর দিঘা। কোথাও প্রকাশ্যে, আবার কোথাও লুকিয়ে পলিথিন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার চলছে বলে অভিযোগ। ওল্ড ও নিউ দিঘা জুড়ে পলিথিন মুক্ত সৈকত শহর কবে গড়ে উঠবে, তা আদৌ জানা নেই প্রশাসনিক কর্তাদেরও।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) তরফে জানানো হয়ছে, সৈকত শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে শহরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক বৈঠক করা হয়েছে। ৪০ মিলিমিটার ব্যাসার্ধের বেশি প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহার করা নিয়ে মাইকে প্রচার হয় নিয়মিত। চলে নজরদারিও। সে জন্য পাঁচ জন কর্মী নিয়োগ করেছে পর্ষদ। বেআইনিভাবে প্লাস্টিক এবং পলিথিন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ‘স্পট ফাইন’ ব্যবস্থাও চালু করেছে ডিএসডিএ। তাতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মর্মে রয়েছে রসিদও।
কিন্তু এত কিছুর পরেও সৈকত শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওল্ড দিঘা সবচেয়ে বড় বাজার নেহেরু মার্কেট। সেখানে সাড়ে ৪৫০ ব্যবসায়ী রয়েছেন। ওই মার্কেটে পলিথিনের ব্যবহারে অনেকটা রাশ টানা গিয়েছে। স্থানীয় এক মাছ বিক্রেতা বাবলু দাস বলেন, ‘‘ব্যাগের মত খসখসে এক ধরনের পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় খরচ সামান্য বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক নির্দেশ তো মানতে হবে।’’ স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুশীল মান্না বলেন, ‘‘প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট মাইক্রনের পলিথিন প্যাকেট ব্যবহারের কথা বলা হয়। কিন্তু কেউ কেউ পুরনো পলিথিন ব্যবহার করছেন অভিযোগ পেয়েছি।’’
এর কারণ হিসাবে উঠে আসছে, মানুষের সচেতনতার অভাবের তত্ত্ব। পাশাপাশি, স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসন নিয়ম করলেও এখনও সেভাবে আর্থিক জরিমানা শুরু করেননি। তাই অনেকেই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করছেন না।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সুজনকুমার দত্ত বলেন, ‘‘দিঘাতে প্লাস্টিক ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। সব সময় নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার জন্য আমরা নিয়মিত সভা করছি। আগামী দিনে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আরও বেশি করে এই শিবির করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy