পঞ্চায়েত ভোট আসছে। সব রাজনৈতিক দলের পতাকার চাহিদাও বেড়েছে। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মারপিট-হিংসার ছবি প্রায় সব জেলাতেই রোজই সামনে আসছে। তবে রক্তপাত, হিংসার মধ্যেও নির্বাচনের অর্থনৈতিক দিকও রয়েছে। আর তা হল ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফেসটুন, ব্যানার, হোর্ডিংয়ের দাহিদা বেড়ে যাওয়া।
নির্বাচন এলেই প্রয়োজন পড়ে পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানারের। চাহিদাও এক লাফে বেড়ে যায় অনেকটাই। আর তাতেই লাভের মুখ দেখেন এর সঙ্গে যুক্ত ছোট-বড় ব্যবসায়ী, শ্রমিকরা। কেননা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলের অর্ডার মাফিক পতাকা, প্রচারের ব্যানার সরবরাহ করতে হবে। তাই খাওয়ার সময়ও পাচ্ছেন না কারিগররা। জেলা সদর তমলুক থেকে কাঁথি সর্বত্রই রাত জেগে চলছে কাজ। নির্বাচনের মুখে একটু বাড়তি লাভের মুখ দেখে খুশি মালিক এবং কারিগররা।
কাঁথি শহরের ব্রহ্মতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরি করছেন আশিস নন্দ। সব রাজনৈতিক দলের পতাকা তৈরি হয় তাঁর কারখানায়। পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য জাতীয় পতাকাও তৈরি করেন। ওই দিনগুলিতে তো ব্যস্ততা থাকেই। তবে ব্যস্ততা বেড়ে যায় নির্বাচন এলে। তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। কিন্তু এবার আচমকাই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। আর তারপরেই পতাকার চাহিদা হু হু করে বেড়েছে। ফলে হঠাৎই কাজের চাপও বেড়ে গিয়েছে। দিনরাত এক করে তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমের পতাকা তৈরি হচ্ছে আশিসের কারখানায়।
পঞ্চায়েত ভোটে বড় ভূমিকা নেন নির্দল প্রার্থীরা। তাদের চিহ্ন দেওয়া পতাকার অর্ডারও রয়েছে। ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের পতাকা চলে যাচ্ছে খেজুরি, ভগবানপুর, এগরা, রামনগর, দিঘা সহ জেলার নানা এলাকায়।পতাকার পাশাপাশি রয়েছে চিহ্ন দেওয়া টি-শার্টের অর্ডার। যা পরে প্রচার করেন দলের কর্মীরা। কারখানার এক কর্মচারী নন্দদুলাল দাস বলেন, ‘‘কাজের এত চাপ যে খাওয়া-দাওয়ার সময় পাচ্ছি না। দুপুরের খাবার খেতে বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলই চাইছে, তাদের যেন তাড়াতাড়ি পতাকা দিয়ে দেওয়া হয়।’’ আর এক কর্মচারী কাবুল দেবনাথ বলেন, ‘‘কাজের চাপ এতটাই যে একটা দিনের ছুটি যে পাই তাও বাতিল।’’
ভোটের পর সব অর্ডার শেষ হলে তারপর তিনি ছুটি পাবেন বলে কারখানার মালিক জানিয়েছেন। স্কুল বাজার এলাকার এক কারখানার মালিক জানান, ১০জন কারিগর কাজ করেন। তাঁরা কাজ করেও সামাল দিতে পারছেন না। কোনও কোনও দিন মাঝরাত পর্যন্ত কাজ চলছে। চাপ সামলাতে ভরসা করতে হয়েছে আশপাশের লোকজনের উপর।’’কাজের চাপ বেশি হলেও বাড়তি লাভ হওয়ায় খুশি কারখানার মালিক এবং কর্মীরা। গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার পাশাপাশই ঘরে বাড়তি লক্ষ্মীও আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy