রবিবার রাঙামাটি সর্বজনীনে ভিড় । নিজস্ব চিত্র
পুজো শেষ। একাদশীর সন্ধ্যা। কিন্তু রবিবার মেদিনীপুরে রাঙামাটি সর্বজনীনের মাঠে ভিড় দেখে কে বলবে শাস্ত্রমতে বিসর্জন হয়ে গিয়েছে! গোটা মণ্ডপ চত্বরে থিকথিকে ভিড়। এক দিক থেকে লোক ঢুকছে, অন্য দিক থেকে বেরোচ্ছে। বিধাননগর সর্বজনীনের ছবিটাও একই।
শুধু রাঙামাটি বা বিধাননগর নয়, শরত্পল্লি থেকে বার্জটাউন, অশোকনগর থেকে রবীন্দ্রনগর— রবিবার, একাদশীতে মেদিনীপুরের সব বড় পুজো মণ্ডপে ভিড় হয়েছে। বিকেল হতেই মানুষ পথে নেমেছেন। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছেন। শেষবেলার পুজোর স্বাদটুকু উসুল করে নিয়েছেন।
একাদশীর এই ভিড়ের অন্যতম কারণ অবশ্যই বৃষ্টি। দফায় দফায় বৃষ্টিতে অনেকেই এ বার অষ্টমী, নবমীতে সে ভাবে ঠাকুর দেখতে পারেননি। বেরোলেও হাতেগোনা কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। একাদশীর রাতে ছেলে শ্রেয়াংশকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সোমনাথ মাইতি। সোমনাথবাবু বলছিলেন, “বৃষ্টি পুজোর আনন্দ মাটি করে দেবে, তা আবার হয় না কি! শহরের অনেক মণ্ডপে এখনও প্রতিমা রয়েছে। তাই ফের বেরিয়ে পড়েছি।’’ সোমনাথবাবুর স্ত্রী সোমা মাইতির কথায়, “পুজো যে শেষ একাদশীর শহরকে দেখে তা বোঝাই মুশকিল।” আর ছোট্ট শ্রেয়াংশ বলছিল, “মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে আমার দারুণ লাগে।’’
মেদিনীপুরে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে দশমীতেই। তবে বেশিরভাগ সর্বজনীনের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে সোমবার। ফলে, একাদশীতে ছিল উত্সবের শেষবেলার হুল্লোড়। অশোকনগর সর্বজনীনে যেমন রবিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উদ্যোক্তা কল্যাণময় ঘোষ বলেন, “ভিড় দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না দিনটা নবমী না একাদশী!” রাঙামাটি সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা সোমনাথ সাউও মানছেন, “একাদশীতেও প্রচুর মানুষ মণ্ডপে এসেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy