বাজেয়াপ্ত লরির সারি। নিজস্ব চিত্র
অতিরিক্ত পণ্যবহন বন্ধে উদ্যোগী হল পুলিশ-প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ঘাটাল মহকুমার একাধিক সড়কে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় পরিবহণ দফতর। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “এ বার ধারাবাহিক অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে এ দিন ২০টি গাড়িকে ধরা হয়েছে। অতিরিক্ত পণ্য বহনের জন্য সংশ্লিষ্ট গাড়ি মালিকদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল মহকুমায় ঘাটাল-পাঁশকুড়া, ক্ষীরপাই-আরামবাগ ও ঘাটাল-চন্দ্রকোনা-মূলত এই তিনটি সড়কের উপর দিয়েই ইদানিং অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে লরি-ট্রাক যাতায়াত করছে। ক’দিন আগে ময়রাপুকুর সংলগ্ন দু’নম্বর চাতালের উপর অস্থায়ী মোরাম রাস্তা দিয়ে একটি লরি পার হতে গিয়ে মাঝখানে আটকে পড়েছিল। ফলে ওই রাস্তা যান চলাচল বন্ধ ছিল ১২ ঘণ্টা। হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। খবর পৌছায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে। এরপরই গাড়িতে অতিরিক্ত মালবহন থামাতে পথে নামে পুলিশ।
ঘাটালের উপর দিয়ে বাঁকুড়া, বর্ধমান ও বীরভূম জেলা থেকেই শতাধিক লরি-ট্রাক পাঁশকুড়া হয়ে কলকাতা ও হলদিয়া যায়। ছয় চাকা থেকে বার চাকার গাড়িই বেশি যাতায়াত করে। আগে অতিরিক্ত মালবাহী গাড়ি ধরলে পুলিশ মামলা করতে পারত। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে পুলিশ সরাসরি ওই সব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না। পরিবহণ দফতরের আধিকারিক বা মহকুমা স্তরের আধিকারিকরাই ওই গাড়ি ধরে মোটরযান আইনে মামলা করতে পারেন। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কোনও অভিযান না হওয়ায় অতিরিক্ত পণ্যবহনকারী গাড়ি যাতায়াতের প্রবণকা বেড়েই চলেছে। যে লরির ২৫ টন মাল বহন করার কথা, সেটাই নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩৫-৪০ টন পণ্য।
এ বার এই প্রবণতা রুখতেই পথে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ছয় চাকার লরি ১৬ টন ২০০ কিলো মাল বহন করতে পারে। দশ চাকা-২৫ টন, ১২ চাকা-৩১ টন। আর প্রতি টনে দু’হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা যায়। জেলার পরিবহণ দফতরের আধিকারিক অর্কপ্রদীপ ভট্টাচায বলেন, “এ বার ধারাবাহিক অভিযান চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy