ঝাড়গ্রামের জিতুশোলের কাছে ধান খাচ্ছে একটি হাতি। নিজস্ব চিত্র
হাতির দাপটে আশঙ্কা বাড়ছে ঝাড়গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কমবেশি দশ কিলোমিটার দূরে জিতুশোলের কাছে দু’টি দাঁতাল মাঠে নেমে ধান গাছের ক্ষতি করেছে। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে হাতি দু’টি প্রথমে জিতুশোলের জঙ্গলে ঢুকে গেলেও ফের বেরিয়ে আসে। শনিবারও ওই দু’টি হাতি জিতুশোল, লবকুশ ও পার্শ্ববর্তী মৌজায় মাঠে নেমে কচি ধানের গাছ খেয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বালিভাসা বিট এলাকায় থাকা ৭০টি হাতির দল জাতীয় সড়ক পেরিয়ে গুপ্তমণি হয়ে সর্ডিহার দিকে গিয়েছে। হাতির দলটি জাতীয় সড়ক পেরোনোর সময়ে দু’দিকে যানবাহন দাঁড়িয়ে যায়।
শনিবার জারি করা ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের তথ্য বলছে, এখন কেবলমাত্র ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের বিভিন্ন জঙ্গলে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ১৩১টি পরিয়ায়ী হাতি রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে কয়েকটি স্থানীয় এবং দলছুট হাতি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গিধনি রেঞ্জের আমতলিয়ায় ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ১০টি হাতির দল রয়েছে। ওই রেঞ্জের হিজলিতে রয়েছে ১টি হাতি। জামবনি রেঞ্জের ভালুকায় রয়েছে একটি স্থানীয় হাতি। এছাড়া জামবনির চিচিড়ার কাছে ঝাড়খণ্ড সীমানায় ১৩টি হাতি রয়েছে। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া রেঞ্জের বালিভাসা বিটের ৬৮১ নম্বর খাসজঙ্গলে ৭০টি হাতি রয়েছে। ওই রেঞ্জের রামরামায় ৪টি হাতি রয়েছে। এছাড়া কুসুমঘাটি বিটের ঠাকুরথানে রয়েছে একটি স্থানীয় হাতি। গোবিন্দপুরে রয়েছে ২২টি হাতি। লোধাশুলি রেঞ্জের ভাউদায় রয়েছে ২৩টি হাতির দল।
এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বন দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের দলমায় অনুকুল পরিবেশ নেই। তাই হাতির বিভিন্ন দল দক্ষিণবঙ্গের সমতলে নেমে খাবারের খোঁজে ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড সীমানায় হাতির দু’টি দল রয়েছে। বাকি হাতিগুলিকে এলাকা থেকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
তিনি জানান, হাতিরা স্বেচ্ছায় যেতে না চাইলে জোর করে তাড়াতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে হাতির দল শহর থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তাই আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy