n শনিবার মেদিনীপুরে ‘টিম বিজেপি’। নিজস্ব চিত্র
দলহীন কর্মসূচি চালিয়েছেন মাসখানেক ধরে। প্রায় সব কর্মসূচিতেই উঠে এসেছে মেদিনীপুরের প্রসঙ্গ। কখনও জেলার ঐতিহ্য, মনীষীদের নিয়ে আলোচনা করছেন, তো কখনও জেলাবাসীর তাঁর পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে দলবদলের প্রথম দিন কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের মাত্র এক তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক বনশ্রী মাইতিকে। পূর্ব মেদিনীপুরের বাকি যে দুই বিধায়ক এ দিন দলবদল করেছেন, তাঁরা হলেন বাম নেতা অশোক দিন্দা এবং তাপসী মণ্ডল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজ- কলেজিয়েট স্কুলের ময়দানে শনিবার বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। সভা মঞ্চে বক্তৃতা করা সময় শুভেন্দু আগের মতোই ফের উস্কে দিয়েছেন মেদিনীপুরের আবেগ। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের স্বাধীনতা আন্দোলন, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার, শহিদ ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, বিদ্যাসাগরের কথা। অরাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে জন সংযোগ চালিয়ে যাওয়ার সময়েও তিনি এই বিষয়গুলি বারবার তুলে ধরছেন।
কিন্তু শুভেন্দু যে অবিভক্ত মেদিনীপুরে গৌরবের কথা বারবার বলছেন, সেই মেদিনীপুরের মধ্যে কেবল পূর্বের এক সদ্য দলত্যাগী তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রীর মতো জেলা নেতৃত্ব ছাড়া এ দিন তেমন আর কেউ তাঁর পাশে ছিলেন না। ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের কোনও বিধায়ক বা ব্লক সভাপতি এ দিন ওই দলবদলের সভায় ছিলেন না।
উল্লেখ্য, এ দিন তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক বিধায়ক এবং নেতার নাম শোনা গিয়েছিল। যাঁদের মধ্যে ছিলেন খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলাই-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ-সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের বহু নেতা। অবশ্য শনিবারের সভায় দলবদল ঘিরে তাঁরা প্রকাশ্যে কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেননি।
এ দিন শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের তাঁর আর অন্য কোনও অনুগামীকে দেখা গেল না কেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদানের দিনেই ঘনিষ্ঠদের অধিকাংশ যোগ না দেওয়ার পিছনে কৌশল নেওয়া হয়েছে। কারণ, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত পদাধিকারীদের ধাপে ধাপে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হবে। যাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারা যায়।’’ ওই নেতার কথায়, ‘‘একই ভাবে জেলার পুরসভার পদাধিকারীদের ধাপে ধাপে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। এতে দলীয় ভাবে তো বটেই প্রশাসনিক ভাবেও তৃণমূলকে ধাক্কা দেওয়া যাবে।’’
তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অখিল গিরি বলেন, ‘‘শুভেন্দু ছাড়া দলের একজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে জেলায় বাকি বিধায়ক ও অধিকাংশ নেতৃত্ব তৃণমূলেই রয়েছেন। যে কয়েকজন বিজেপিতে গিয়েছেন তাতে দলের ক্ষতি হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy