ফাইল চিত্র।
বড়দিন মানেই পিকনিক। আর পিকনিক মানেই মাংস। কিন্তু মাংস রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান পেঁয়াজের বাজার অগ্নিমূল্য। তাই বড়দিনের পিকনিকে কিছু ক্ষেত্রে মাংসের পদে পড়েছে কোপ। তার বদলে স্বাদবদলে মেনুতে এসেছে নতুন পদ। আবার অনেকেই মাংসে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের জোগাড় করতে অন্য মেনুতে কাটছাঁট করেছেন।
বেশ কয়েক মাস ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে ১৫০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম দাম ছুঁয়েছিল পেঁয়াজ। কিছুটা দাম কমে গড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কিলো দরে এখনও বিকোচ্ছে আমিষ রান্নার এই অপরিহার্য উপাদান। সরকারি উদ্যোগে সুফল বাংলার মাধ্যমে ৫৯ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও সেই পরিষেবা মেলেনি গ্রামাঞ্চলে। অনেকেই আশা করছিলেন বড়দিনের আগে কমবে পেঁয়াজের দাম। তবে সে আশায় কার্যত জল ঢেলে পেঁয়াজের দাম রয়েছে পুরনো জায়গাতেই। ফলে বড়দিনের পিনিকের মেনুতে কাটছাঁট করতে হয়েছে এবার অনেককেই।
কোলাঘাটের বাসিন্দা অর্ধেন্দু মান্না বলেন, ‘‘বড়দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পিকনিক করি। তবে এবার মাংসে পেঁয়াজ ব্যবহারের মাত্রা কমাতে হয়েছে দামের কারণে।’’ পাঁশকুড়ার চাঁপাডালির বাসিন্দা মনোজিত সামন্ত বলেন, ‘‘পিকনিকে মাংস রান্নার জন্য পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু এ বার পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় অন্য মেনু বাদ দিতে হয়েছে।’’ পাঁশকুড়ার পূর্ব বাকুলদা গ্রামের রিন্টু মণ্ডল বলেন, ‘‘বন্ধুরা প্রতি বছর বড়দিনে পিকনিক করি। মাংসের পাশাপাশি চাটনি, দই, মিষ্টি পাঁপড়ও থাকে মেনুতে। এ বার পেঁয়াজের দাম ১৩০ টাকা। রসুনও ২০০ টাকা প্রতি কেজি। তাই এবার পিকনিকে শুধুই মাংস-ভাত।’’
অন্যবারের থেকে এ বার পেঁয়াজ কম বিক্রি হয়েছে মানছেন বিক্রেতারাও। পাঁশকুড়া ব্যবসায়ী শ্যামল সামন্ত বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর বড়দিনে পেঁয়াজ বিক্রি করে ভাল আয় হত। কিন্তু এ বার বেশি দামের জন্য পেঁয়াজ বিক্রি খুবই কমে গিয়েছে।’’
কতদিনে কমবে পেঁয়াজের দাম, জানা নেই কারও। দামের বাড়বাড়ন্ত তাই স্বাদেই না হয় কোপ পড়ুক!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy