সেই ১৩ লাখি মাছ। নিজস্ব চিত্র।
আবার দিঘা। আবার মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ল বিশালাকার তেলিয়া ভোলা। এ বার একটি মাছ বিক্রি করেই ১৩ লাখ টাকা পেলেন মাছ ব্যবসায়ী। রবিবার দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে সেই মাছ কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
দিন কয়েক আগে ১২১টি তেলিয়া ভোলা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছিলেন কয়েক জন ব্যবসায়ী। তবে সেগুলির প্রত্যেকটি বিকিয়েছিল ১০-১৫ হাজার টাকায়। ১৩ লাখি মাছ বিক্রি নিয়ে ‘দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম কর্তা নবকুমার পয়ড়্যার কথায়, “পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় নোনা মাছের মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহনায় একটি ৫৫ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ নিয়ে ব্যাপক দর কষাকষি চলেছিল। কয়েক ঘণ্টার নিলামের পর শেষ পর্যন্ত সেটি বিপুল টাকায় কিনে নিয়েছেন এসএসটি নামের একটি সংস্থা।” তাঁর আরও সংযোজন “এমন বড় আকারের তেলিয়া ভোলা বছরে দু’-তিনটে ধরা পড়ে।’’
রবিবার দিঘা মোহনা বাজারে এই তেলিয়া ভোলা নিলামে বিক্রির জন্য আনেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানের মৎস্যজীবী শিবাজী কবীর। আড়ৎদার কার্তিক বেরা জানান, ৫৫ কেজির স্ত্রী মাছটি বিক্রির সময় ডিমের জন্য পাঁচ কেজি ওজন বাদ যায়। তার পর মাছটির নিলাম শুরু হলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দরদাম চলে। শেষ পর্যন্ত ২৬ হাজার টাকা কেজি দরে ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে মাছটি। তিনি আরও বলেন, “এই তেলিয়া ভোলাটি পুরুষ হলে দাম আরও বেশি হত। ছ’দিন আগেই দিঘা মোহনা বাজারে ৩০ কেজির একটি পুরুষ তেলিয়া ভোলাই ন’লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে।”
ঠিক কী কারণে তেলিয়া ভোলার এমন কদর? মৎস্যজীবীরা জানান, তেলিয়া ভোলা প্রজাতির মাছের পেটে থাকা পটকা জীবনদায়ী ওষুধের খোল তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মাছের ওজন যত বেশি হয়, ততই বাড়ে তার পটকার মূল্য। এর আগেও দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে এই তেলিয়া ভোলার সৌজন্যে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী। তবে সেগুলির ওজন অনেক কম ছিল। এক মৎস্যজীবীর কথায়, ‘‘ভাগ্যবান মৎস্যজীবীদের কপালেই এত বড় আকারের তেলিয়া ভোলা জোটে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy