রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় ধৃত নন্দ দাসকে মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়া জেলে স্থানান্তর করা হল। দিন কয়েক আগেই তাকে বাঁকুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
শ্রীনু খুনের মামলায় এই নন্দেরই আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারকের কাছে গিয়ে বেঁকে বসে সে। তারপরই পুলিশ তাকে দাঁতনের পুরনো একটি ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত করে। ইতিমধ্যে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নন্দ অভিযোগ করেছে, জবানবন্দি না দেওয়াতেই তাকে ডাকাতির মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ। শ্রীনু খুনে বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ জড়িত নন বলেও আদালত চত্বরে দাবি করেছিল নন্দ। সেই নন্দকে বাঁকুড়া জেলে পাঠানো নিয়ে স্বভাবতই শোরগোল পড়েছে। কেন এই জেল-বদল, তা নিয়ে জল্পনাও চলছে। এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মেদিনীপুর জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। তবে জেলের এক কর্তা মানছেন, “বিভাগীয় নির্দেশ মেনেই নন্দকে বাঁকুড়া জেলে পাঠানো হয়েছে।”
শ্রীনু খুনের মামলায় নন্দ অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়িতে চেপে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, তার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল নন্দ। পুরনো একটি গাড়ি কিনেছিল সে। সম্প্রতি দাঁতনের ডাকাতির মামলায় মেদিনীপুর জেলেই টিআই প্যারেড হয় নন্দের। ঘটনার দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী বিচারকের সামনে নন্দকে চিহ্নিত করেন। পুলিশের দাবি, দাঁতনের ডাকাতির মামলায় নন্দ যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই ডাকাতির মামলায় আগেই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই দাঁতনের ডাকাতির মামলায় নন্দর নাম পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy