Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য বিধি শিকেয়, দেখলেন বিডিও

রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশে গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত জেলার প্রতিটি স্কুল পরিদর্শন করার কর্মসূচি নিয়েছিল প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

মিড ডে মিল কেমন চলছে দেখতে গড়বেতা ২ ব্লকের একটি স্কুলে গিয়েছিলেন বিডিও। সেই স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই হলেও সেখানে রান্নার পরিমাণ অনেক কম। কেন এই অবস্থা? বিডিওর প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান, বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী টিফিন নিয়ে আসে। তারা মিড ডে মিল খেতে চায় না। তাই কম করে রান্না হয়। গড়বেতা ১ ব্লকের একটি স্কুলে আবার মিড ডে মিলের হিসেব রাখার খাতা পর্যন্ত নেই। ওই ব্লকেরই একটি জুনিয়র হাইস্কুলে বাইরে থেকে জল এনে মিড ডে মিলের রান্না হয়। পরিদর্শক তার কারণ জিজ্ঞেস করতে জানা যায় সেখানে জলের ব্যবস্থা নেই। গড়বেতা ৩ ব্লকের অনেক স্কুলের পাঠাগার আবার প্রায় অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।

রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশে গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত জেলার প্রতিটি স্কুল পরিদর্শন করার কর্মসূচি নিয়েছিল প্রশাসন। এই ‘পারফরমেন্স গ্রেডিং ইনডেক্স (পিজিআই)’ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘সাগুন উৎসব’। জেলা, ব্লক, সার্কেল— এই তিনটি স্তরে ভাগ করে পরিদর্শন হয়। সেখানেই গড়বেতার ৩টি ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা গিয়েছে অব্যবস্থার নানা ছবি। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, পরিদর্শনের রিপোর্ট জেলায় পৌছে গিয়েছে। সেটি দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, গড়বেতা ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর তার এলাকার ধ্বনি ও লোখাটাপোলের স্কুলে গিয়ে দেখেন, বাইরের থেকে জল এনে মিড ডে মিল রান্না হচ্ছে। ওই ব্লকের খড়কুশমা অঞ্চলের আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মিড ডে মিলের খাতা নেই। বেশিরভাগ স্কুলেই শৌচালয় অপরিচ্ছন্ন। অনেক স্কুলের খেলার মাঠ গর্তে ভর্তি। কোথাও আবার রান্নার গ্যাসের বদলে কাঠের জ্বালানিতে মিড ডে মিলের রান্না হচ্ছে। অনেক স্কুলেই মিড ডে মিল রান্নার সময়ে রাঁধুনিরা অ্যাপ্রোন পরেন না। গড়বেতা ২ ব্লকের পাথরপাড়ার একটি স্কুলে মিনি জিমন্যাসিয়াম থাকলেও সেটি ব্যবহার হয় না। বিডিও স্বপন দেবের ক্ষোভ, ‘‘একটি হাইস্কুলে ক্লাস নিতে গিয়ে দেখি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতের লেখার এমন অবস্থা যে পড়া যায় না। আরেকটি স্কুলে তো অনেকেই মিড ডে মিল খায় না।’’

গড়বেতা ৩ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমার এলাকার কয়েকটি স্কুলে পাঠাগারের ব্যবহার তেমন হয় না। কিছু স্কুলে মিড ডে মিলের তথ্য নথিভুক্ত করার ঘাটতি আছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে এই প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

School Water Midday Meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy