Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
TMC

বিপর্যয় মোকাবিলায় যুব তৃণমূলের বাহিনী  

জেলা যুব তৃণমূল সূত্রে খবর,  ইয়াস বা আমপানের মতো বড় বিপর্যয় ঘটে গেলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো হয় ঠিকই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৭
Share: Save:

নতুন আঙ্গিকে সাজল যুব তৃণমূলের তমলুক জেলা সংগঠন। জনসংযোগের নয়া মাধ্যম এবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাকে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

নতুন ভাবে ঢেলে সাজা হচ্ছে তমলুক সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি। জেলায় দলের তরফে একটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রাথমিকভাবে ৭৫০ জন সদস্যকে রাখা হয়েছে। শনিবার রাতে হলদিয়ার বাসুদেবপুরে জেলা যুব তৃণমূলের মূল কার্যালয় থেকে ওই সদস্যদের পোশাকও বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা যুব তৃণমূল সূত্রে খবর, ইয়াস বা আমপানের মতো বড় বিপর্যয় ঘটে গেলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো হয় ঠিকই। তবে তাদের পৌঁছতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে যদি এই বাহিনী তৈরি থাকে তাহলে সহজেই মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাজকর্মে সাহায্য করতে পারবে যুব তৃণমূলের এই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। খুব তাড়াতাড়ি এই সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। গোটা সাংগঠনিক জেলা জুড়েই থাকবে এই বাহিনীর সদস্যরা। জেলার যুব সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে থেকেই বাছাই করা হয়েছে সদস্যদের।

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ইতিমধ্যে দিদির সুরক্ষা কবচ, দিদির দূত প্রভৃতি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য়ে তৃণমূল যে ভাবে দুর্নীতির নাগপাশে জড়িয়েছে তাতে তৃণমূলের এই ধরনের কর্মসূচি যে পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য রেখেই সে ব্যাপারে একমত বিরোধী বিজেপি থেকে বাম, কংগ্রেস। তাদের মতে, যুব তৃণমূলের এই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৈরিও পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই। এ ভাবেই নানা উপায় বের করে দুর্নীতির দিক থেকে মানুষের মুখ ফেরাতে চাইছে তৃণমূল। তবে তাতে লাভ হবে না। ভারতীয় মজদুর সংঘের সম্পাদক প্রদীপ বিজলি বলেন, ‘‘আসলে সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই নয়া গিমিক তৈরি করে প্রচারের আলোয় থাকার চেষ্টা করছে শাসক দল। সবটাই মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। তবে এ সব করেও পঞ্চায়েত ভোটে তেমন কিছু লাভ হবে না।’’

যুব তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি অভিষেক দাস বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে। এতে দলের জনসংযোগ কর্মসূচি অনেক শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি সংগঠনও মজবুত হবে। বিরোধীরা সবকিছুতেই রাজনীতি দেখে কুৎসা ছড়ায়। তৃণমূল সারা বছর মানুষের সুখ দুঃখের সাথী।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC TMYC Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE