প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন ছেলে। আর সেই ‘অপরাধে’ পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে ষাটোর্ধ্ব এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও দুষ্কৃতীদের সকলে গ্রেফতার করা হয়নি। বিচারের আশায় তাই পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থেকে দিল্লি গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় গেলেন ছেলে।
টালি চাপানো ছোট্ট একচালা মাটির বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রয়েছেন ওই যুবক। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে অসুস্থ মায়ের। দিল্লি থেকে ফিরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ছেলে বলেন, ‘‘২ মে বাড়িতে একা ছিলেন বিধবা মা। সেদিন রাত্রি ১২টা নাগাদ ৩ দুষ্কৃতী বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মাকে ধর্ষণ করে। পরের দিন ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এরপরেই খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।’’
তিনি জানান, ধর্ষণের ওই ঘটনায় এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও আরও ২ অভিযুক্ত এখনও বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও পুলিশের খাতায় ওই অভিযুক্তরা ‘ফেরার’ বলেই দাবি জানানো হয়েছে। ওই যুবক বলেন, ‘‘বিচারের আশায় প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছি। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। উল্টে অভিযুক্তরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। এই কারণে বাধ্য হয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে ময়দানে নেমেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি-র কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুধুমাত্র বিজেপি-কে সমর্থন করার জন্য খেজুরির মহিলার ওপরে যে নৃশংস অত্যাচার হয়েছে তা বর্ণনা করার কোনও ভাষা নেই। ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও অভিযুক্তদের ধরা হয়নি। এই ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চলবে।’’
যদিও খেজুরির তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন তার পথেই চলছে। কেউ দোষী হলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy