জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র।
সালের আগে জঙ্গলমহলের অবস্থা কী ছিল, আর পরে কী হয়েছে—জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে সে কথাই বারবার মনে করালেন মন্ত্রীরা। সোমবার থেকে মেদিনীপুরেও শুরু হয়েছে জঙ্গলমহল উৎসব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাস্তরের উৎসবটি হচ্ছে মেদিনীপুরে, কালেক্টরেট চত্বরে। উৎসবের সূচনায় মন্ত্রীদের বার্তা, অনুন্নয়ন অতীত। এখন সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া। সঙ্গে মনে করিয়েছেন জঙ্গলমহলের সংস্কৃতিকে কুর্নিশ জানাতেই এই উৎসব।
এ দিন মেদিনীপুরে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘২০১১ সালের কী ভয়ানক দিন ছিল এখানে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ সম্মান পাচ্ছে। অনাহারের পরিস্থিতি দূর হয়েছে।’’ তাঁর বার্তা, ‘‘সেই সব দিন ভুলে যাব না। তবে সেই একই পরিস্থিতি যাতে আর না তৈরি হয়, সে দিকে নজর রাখব সবাই মিলেই।’’ আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বরাইকও বলছিলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে আগুন জ্বলেছিল এখানে। এই সরকার আসার পরে উৎসব হচ্ছে।’’ রাস্তা কাটা, ফাঁড়িতে হামলা- অশান্তিপর্বের দিনগুলির কথা মনে করান কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ঝাড়খণ্ডী নেতা আদিত্য কিস্কু। আদিত্য ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি। শশী মনে করান, ‘‘ওঁরা (আদিত্যরা) আদিবাসীদের কথা দিনরাত ভাবছেন।’’
কালেক্টরেট চত্বরে খোলা জায়গায় উৎসবের আয়োজন হয়েছে। তৈরি হয়েছে মঞ্চ, স্টল। তিন দিনের উৎসব চলবে কাল, বুধবার পর্যন্ত। উৎসবে রয়েছে লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ২১টি ব্লকের মধ্যে ১০টি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীন। এ দিন এই ব্লকগুলির একটি করে লোকসংস্কৃতির দলকে ধামসা-মাদল দেওয়া হয়েছে। করোনা আবহে দর্শকাসনে দূরত্ববিধি বজায় ছিল। তবে ধামসা-মাদল বিলির সময়ে তা শিকেয় ওঠে। অনেকে একসঙ্গে মঞ্চে উঠে পড়েন।
উৎসব প্রাঙ্গণে ২৫টি স্টল হয়েছে। প্রতিটি এক-একটি দফতরের। একদিকে পুষ্প প্রদর্শনীর আয়োজন। উৎসাহীদের ভিড়ও হচ্ছে। এ দিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে সচেতনতা প্রচার চলেছে। জেলাশাসক রশ্মি কমলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সকলকেই কোভিড-বিধি মানতে হবে কঠোরভাবেই। মাস্ক পরতেই হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।’’ উৎসব প্রাঙ্গণে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার রাখা রয়েছে বলেও জানান জেলাশাসক। মন্ত্রী শশীরও বার্তা, ‘‘করোনা পরিস্থিতি রয়েছে। তাই ভিড় করা যাবে না।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘দ্বিতীয় ডোজ় যাঁদের বাকি রয়েছে, তাঁরা নিয়ে নিন। সকলকেই অবলম্বন করতে হবে।’’ জেলার প্রশাসনিক সূত্র মনে করাচ্ছে, খোলা মাঠে মেলা নিয়ন্ত্রিতভাবে করা যাবে- নির্দেশিকা রয়েছে রাজ্যের। সেই মতো বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাও বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন, এখন কি মেলা-উৎসব না করলেই নয়! মন্ত্রী শশীর মতে, ‘‘জঙ্গলমহলের এই সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আমাদের খুবই প্রিয়। এটা তো মিলনক্ষেত্রও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy