ছবি পিটিআই।
বাস কম। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঝাড়গ্রাম জেলার ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা।
সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘রাজ্যের সব সীমান্তে পরিযায়ী শ্রমিকেরা হেঁটে আসছেন। এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে আমাদের কর্মীরা তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখানোর পরে রাজ্য সরকার বাসে করে তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের দলও অনেককে গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রতিদিন ৫০০-৭০০ শ্রমিক ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হাঁটছেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, এতদিন সরকারি বাসে শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো হচ্ছিল। সোমবার থেকে বেসরকারি বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ দিন গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ওড়িশা সীমানা লাগোয়া হাতিবাড়ি চেক পোস্ট থেকে ১০টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি বাসে শ্রমিকদের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, মালদহ, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফেরানো হয়েছে।
বাসের অভাবের অভিযোগ উঠছে কেন? প্রশাসনের ব্যাখা, শ্রমিকদের নামানোর পরে সরকারি বাসগুলিকে জীবাণুমুক্ত করে তবে জেলায় ফেরানো হচ্ছে। এর ফলে কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ পাল বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য আমাদের কাছে বাস চাওয়া হয়েছে। ’’
জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘সোমবার ছ’শো শ্রমিককে বিভিন্ন জেলায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই মুর্শিদাবাদ জেলার।’’ ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলার চিচিড়া সীমানায় কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক জানান, তাঁদেরও ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy