প্রতীকী চিত্র।
পিংলা, মোহনপুরের পরে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এ বার মেদিনীপুর শহরে। শহরের এক যুবকের উপরে স্বাস্থ্য দফতর নজরদারি শুরু করেছে। ওই যুবক পড়াশোনার সূত্রে চিনে ছিলেন। সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরে সম্প্রতি তিনি মেদিনীপুরে ফিরে এসেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম- ঠিকানা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকেই পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এই নজরদারির পদক্ষেপ। ওই যুবকের উপরে নজরদারি রেখেছে স্বাস্থ্য দফতরের দল। রাজ্যের থেকে নাম- ঠিকানা জানতে পারার পরেই ওই যুবকের বাড়ি গিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দলটি। প্রাথমিকভাবে ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গ মেলেনি। আপাতত তাঁর উপরে নজরদারি রাখা হচ্ছে। তাঁকে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘এক যুবকের উপরে নজর রাখা হয়েছে। তিনি পড়াশোনার জন্য চিনে ছিলেন। সেখান থেকে মেদিনীপুর শহরে ফিরেছেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওই যুবকের ফেরার বিষয়টি জানার পরে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে যে সব পদক্ষেপ করার সবই করা হয়েছে। উদ্বেগের কিছু নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে জেলায় নতুন করে সন্দেহভাজন হিসেবে কেউ চিহ্নিতও হননি।’’
স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, বছর তিরিশের ওই যুবক দক্ষিণ চিনের এক শহরে থাকতেন। মেদিনীপুর শহরের উত্তর- পূর্ব দিকের এক এলাকায় তাঁর বাড়ি। চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরই সেখান থেকে মেদিনীপুরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ওই যুবক। এখন তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। শুক্রবার ওই যুবকের এক পরিজন বলেন, ‘‘চিনে অনেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওখানে থাকা ঠিক হত না। তাই ও মেদিনীপুরে ফিরে এসেছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওর শারীরিক অবস্থা এখন ঠিকঠাকই রয়েছে। যা যা খতিয়ে দেখার স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে দেখে গিয়েছেন।’’’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন সন্দেহে জেলার পিংলা এবং মোহনপুরের দুই বাসিন্দার উপরে ইতিমধ্যেই নজরদারি চালানো হয়েছে। দু’জনকেই তড়িঘড়ি কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। মোহনপুরের যুবকটিকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল। কারণ, তিনি ২৩ জানুয়ারির বিমানে কলকাতায় ফিরেছিলেন। ওই একই বিমানে থাকা কেরলের দু’জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মোহনপুরের ওই যুবকের সোয়াব পরীক্ষা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় অবশ্য জানা যায়, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত নন। মেদিনীপুরের ওই যুবককে সপ্তাহ তিনেক নজরে রাখা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy