নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনেও উঠে এল শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ। নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ২ ব্লকের বসন্তপুরে পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলন হয় শনিবার। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার, নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ-সহ আরও অনেকে।
ওই সম্মেলনে নাম না করেই শুভেন্দুকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “আগে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেতাদের মধ্যে মতান্তর ছিল। এক জন চলে যাওয়ার পরে এখন আমাদের মধ্যে ও সব কিছুই নেই। তা হলে বোঝা যাচ্ছে যে, এই মতান্তর কে তৈরি করত।” তাঁর দাবি, দল থেকে এক জন (শুভেন্দু অধিকারী) চলে যাওয়ায় ভালই হয়েছে। অভিযোগ, নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে বিজেপি-তে গিয়েছেন।
জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সততা ও মর্যাদার সঙ্গে লড়াই করে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলই জিতবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন।” রাজ্যে বিরোধী শক্তিকে প্রতিরোধ করার জন্য দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিন দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা তুলে ধরার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, নতুন করে বুথ কমিটি তৈরি এবং সেই কমিটি কী কাজ করেছে তার রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে।
১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করা হবে। মেদিনীপুর শহরে প্রায় ৪০ হাজার বাইক নিয়ে র্যা লি করা হবে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন পালন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy