বক্তৃতা করছেন মীনাক্ষী। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে মেদিনীপুরে এলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সভা থেকে তাঁর বার্তা, এ বার পঞ্চায়েতে জান কবুল লড়াই হবে। এ জন্য ছাত্র- যুব কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। মীনাক্ষীর কথায়, ‘‘এখান থেকে ফিরে গিয়ে গ্রামের পাড়াতে জোট বাঁধুন। কর্মী বাহিনী তৈরি করুন। বুথে বুথে রক্ষা বাহিনী দাঁড় করিয়ে দিন। আমাদের ভোট আমাদেরই থাকবে। মানুষ তার পছন্দ মতো ভোট দেবে।’’ সভায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের দাবি, ‘‘আড়ষ্টতা কেটেছে। যাঁরা সরে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে আসছেন।’’
ডিওয়াইএফের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির ডাকে মঙ্গলবার মেদিনীপুরে শহরে গান্ধী মূর্তির সামনে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সুশান্ত ঘোষ, ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক সুমিত অধিকারী প্রমুখ ছিলেন। সভার সমর্থনে সপ্তাহ কয়েক ধরেই জেলা জুড়ে প্রচার করেছিলেন সংগঠনের কর্মীরা। সবার জন্য শিক্ষা ও কাজ চাই, সমস্ত শূন্যপদে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ চাই, এ সব দাবিতেই ‘মেদিনীপুর চলো’র ডাক দিয়েছিল ডিওয়াইএফ। সভা থেকে কর্মসংস্থানের প্রশ্নে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারকেই বিঁধেছে সিপিএমের যুব সংগঠন। সুশান্তদের নিশানায় তৃণমূল, বিজেপি- দুই দলই ছিল। নেতৃত্বের বক্তব্যে ঘুরে ফিরে এসেছে পঞ্চায়েত ভোটে বুথ আগলানোর কথা।
মীনাক্ষী বলেন, ‘‘আমাদের কাজ কী হবে? এই পঞ্চায়েতে গ্রামে নিজেদের কোমর আরও শক্ত করে, আরও বেশি কর্মীদের নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে, নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তৈরি হতে হবে। যাতে আমরা বুথে বুথে, পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে মাথা উঁচু করে থাকতে পারি।’’ কর্মীরাই সম্পদ, মনে করিয়েছেন যুব নেত্রী। সঙ্গে মনে করিয়েছেন, ‘‘কাজ কোথায়? কাজ নেই। বালি, মাটি সবকিছু চুরি হয়ে যাচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে কলুষিত করেছে।’’ তিনি দাবি করেছেন, ‘‘আজকে যাঁরা সৎ পথে চাকরি পাচ্ছে, তাঁদেরও ভয়ে বুক দুরু দুরু করছে। কেউ বিশ্বাসই করছে না যে, পড়াশোনা করে চাকরিটা পেয়েছে। সরকার বেকারদের আশা, ভরসা ভেঙে দিচ্ছে।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, ‘‘সবচেয়ে বেশি আঘাত ছাত্র- যুবদের উপরেই শাসক দল নামিয়ে এনেছে। আমরা বলেছিলাম, কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত। মাওবাদীদের ডেকে নিয়ে এসে খুনের রাজনীতি আমদানি করা হয়েছিল। রাজ্যে যদি বড় চোর দু’টো থাকে, তাহলে একটা উনি (এখনকার বিরোধী দলনেতা), আরেকটা মুখ্যমন্ত্রী। সব কিছুতেই লুট চলছে।’’ সুশান্তর নালিশ, ‘‘ছোট, বড়, মেজো, সেজো- রাজ্যের শাসক দলের সব নেতাকেই টাকা দিয়ে পদ কিনতে হয়। আর সেই টাকা চলে যায় ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে।’’ সভায় ভিড় মন্দ হয়নি। সুশান্তর দাবি, ‘‘আড়ষ্টতা সবটা কেটেছে, বলছি না। অনেকটাই কেটেছে।’’
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো- অর্ডিনেটর অজিত মাইতির পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘সিপিএম যে ভোট বিজেপিকে বিক্রি করে ফেলেছে, এখন সেই ভোট পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে এর জন্য ওদের অনেক দিন লড়াই করতে হবে।’’ বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায়ের খোঁচা, ‘‘তৃণমূল সিপিএমের পালে হাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিছু সুবিধা করতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy