কী ভাবে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তার সদুত্তর দিতে পারেননি স্বামী। —প্রতীকী চিত্র।
দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর খবর কাউকে দেননি স্বামী। চুপিচুপি দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন বাড়ির সামনে একটি জায়গায়। কী ভাবে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তা কেউই জানেন না। মঙ্গলবার মাটি খুঁড়ে দেহ তুলল খড়্গপুর গ্রামীণ পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পর কাউকে না জানিয়ে বাড়ির সামনে কবর দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তরুণ সিংহ নামে এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
বছর দশেক আগে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তরুণ। পাত্রীর নাম পবিত্রা। প্রতিবেশীরা বলছেন, বিয়ের পর থেকে নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। স্ত্রীকে নাকি শারীরিক নির্যাতন করতেন তরুণ। সোমবার আচমকাই মারা যান পবিত্রা। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁদের অজান্তেই স্ত্রীকে কবর দিয়ে দেন তরুণ। কী ভাবে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তা কেউ জানেন না। তবে এলাকাবাসীদের কয়েক জন এই কবর দেওয়ার বিষয়টি জানার পরই খবর দেয় পুলিশে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পবিত্রাকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খড়্গপুর রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক মহিলাকে কবর দেওয়ার খবর পেয়েছি আমরা। আইন মেনে ওই দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ বুঝতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy