বৃহস্পতিবার দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী।
দিঘার উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সাম্প্রতিক কাশ্মীর প্রসঙ্গ জুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিঘা সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা ফেরার আগে মমতা বললেন, ‘‘দিঘা পর্যটন ব্যবসার অন্যতম গন্তব্য হবে। কারণ, এখন মানুষ কাশ্মীরে যেতে পারবে না। তাই এখানে মানুষ যাতে ভ্রমণে আসতে পারে সেজন্য আমরা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করছি।’’ কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে দিঘার উন্নয়নের সাপেক্ষে কাশ্মীর প্রসঙ্গ জুড়লেন, তাকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
গত ১৯ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দিঘা সফর। কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন, প্রশাসনিক বৈঠক সেরে এ দিন ছিল ফিরে যাওয়ার পালা। যাওয়ার আগে তিনি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, এই ক’দিন তিনি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার বাস্তবায়নও হবে দ্রুতগতিতে। মমতা তাই জানিয়েছেন, ‘‘মেরিন ড্রাইভ তৈরির কাজ কিছুটা বাকি আছে। সেই কাজ যাতে আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায় জেলাশাসককে বলেছি। এছাড়া লারিকা ইন হোটেল সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে বলেছি। আর জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণের জন্য জমি হস্তান্তরের জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। শীঘ্র কাজ শুরু করতে হবে।’’
বুধবার জেলার উন্নয়ন বিষয়ক পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা একই ভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন, দিঘার উন্নয়নমূলক কাজগুলি সময় মতো শেষ হবে। এই সফরেই জগন্নাথ মন্দিরের ডিপিআর দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। আর এ দিন এ ধাপ এ গিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, মন্দির তৈরির জমি হস্তান্তরের নথি তৈরি।
বুধবার উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী উদয়পুরের সংলগ্ন দিঘার দত্তপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছিলেন। পাকাবাড়ি তৈরি, রাস্তাঘাট এবং পানীয় জলের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কাছেই থাকা জেলাশাসক পার্থ ঘোষকে নির্দেশ দেন, ওই গ্রামের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত করতে।
মমতা তখনও জেলায়। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস ওই গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জেনে সমাধানে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। দেবব্রত বলেন, এই পরিবারগুলি দীর্ঘদিন এখানের বাসিন্দা। যেহেতু এই জায়গা সরকারি, তাই জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য বাড়ি তৈরি করতে পারেনি। উপভোক্তা হলেও সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করা যায়নি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিভাগীয় দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সকলকে বাড়ি তৈরি করে দেব।’’ জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘দত্তপুর এলাকায় ৩৫টি পরিবার রয়েছে বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের পাকাবাড়ি, রাস্তাঘাট ও পানীয় জল-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy