Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
শ্রীনু খুন

জবানবন্দি দিতে আর্জি নন্দেরই

দিন কয়েক আগে আদালতে গিয়েও গোপন জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেছিল শ্রীনু নায়ডু খুনে ধৃত নন্দ দাস। ফের সেই নন্দরই গোপন জবানবন্দি দিতে চাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের আবেদন জমা পড়ল মেদিনীপুর আদালতে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে এই আবেদন জমা পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:২৯
Share: Save:

দিন কয়েক আগে আদালতে গিয়েও গোপন জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেছিল শ্রীনু নায়ডু খুনে ধৃত নন্দ দাস। ফের সেই নন্দরই গোপন জবানবন্দি দিতে চাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের আবেদন জমা পড়ল মেদিনীপুর আদালতে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে এই আবেদন জমা পড়ে। পুলিশই নন্দর ওই আবেদন জমা দেয়।

আজ, বুধবার নন্দকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হবে। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমর নায়েক বলেন, “ওই অভিযুক্ত জেল সুপারের কাছে এক আবেদন করেছিল। যে আবেদনে বলেছিল, সে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চায়। পরে সুপার ওই আবেদনপত্র মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ দিন তদন্তকারী অফিসার ওই আবেদনপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন।”

শ্রীনু খুনের মামলায় আগেই নন্দর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে পুলিশই এই আবেদন জানিয়েছিল। গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য একদিন নন্দকে আদালতে আনাও হয়। যদিও বিচারকের কাছে গিয়ে বেঁকে বসে নন্দ। গোপন জবানবন্দি দেবে না বলে সে জানিয়ে দেয়। ঘটনাচক্রে এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই দাঁতনের এক ডাকাতির মামলায় জেলে গিয়ে নন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে মেদিনীপুর আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়। পরের দিন ওই ডাকাতির মামলায় নন্দকে গ্রেফতার করতে চেয়ে মেদিনীপুর আদালতে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনও মঞ্জুর হয়। নন্দ কেন এখন গোপন জবানবন্দি দিতে চাইছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে।

গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রীনু খুনে ধৃত সুপারি কিলার রাজু সিংহ ওরফে বাপির টিআই প্যারেড হয় মঙ্গলবার। এ দিন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই প্যারেড হয়। ধৃতকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য ঘটনার তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী এসেছিলেন। ছিলেন এক বিচারকও। বিচারকের সামনেই প্রত্যক্ষদর্শীরা ধৃতকে চিহ্নিত করেন। রাজুকে সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চিহ্নিতকরণের কথা মানছে পুলিশও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মঙ্গলবার টিআই প্যারেড হয়েছে। ওই ধৃত চিহ্নিত হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Srinu Naidu Murder Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE