মাঠে চলছে তল্লাশি। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগে মাঠে চলল ‘চুম্বক-তল্লাশি’। চুম্বক ব্যবহার করে তুলে ফেলা হল মাঠে পড়ে থাকা অজস্র পেরেক, গজাল। কিছুদিন আগেই এই মাঠে হয়ে গিয়েছে জঙ্গলমহল উৎসব। পাছে প্যান্ডেল খোলার সময় পড়ে থাকা পেরেক প্রতিযোগিতায় অংশে নেওয়া পড়ুয়াদের পায়ে ফুঁটে যায়, তাই ঝাড়গ্রাম প্রশাসন-পুরসভার তরফে এমন উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার ছিল ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে, এই স্কুলের মাঠেই গত ২০-২৫ জানুয়ারি জঙ্গলমহল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। গত বছর পর্যন্ত শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন (কেকেআই) মাঠে জঙ্গলমহল উৎসব আয়োজিত হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করে মাঠ সংস্কার ও ঘাস রোপণ হওয়ায় কেকেআই মাঠে উৎসবের আয়োজনের সিদ্ধান্তে বাদ সাধেন প্রাক্তনীরা। তাই এই বছর থেকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর আয়োজিত জঙ্গলমহল উৎসবের স্থান পরিবর্তন হয়েছিল অরণ্যশহরের ননীবালা স্কুল মাঠে।
গত বছর পর্যন্ত কেকেআই মাঠে উৎসব শেষ হওয়ার পরে বিভিন্ন স্টল ও মঞ্চের কাজে ব্যবহৃত অজস্র পেরেক পড়ে থাকার অভিযোগ উঠত। মাঠে খেলতে গিয়ে পড়ুয়াদের জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এবার তাই কোনও ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। পুরপ্রশাসক তথা মহকুমাশাসক (সদর) সুবর্ণ রায় বলেন, ‘‘উৎসব আয়োজনের ভারপ্রাপ্ত সংস্থাকে দিয়ে চুম্বক অভিযান চালানো হয়। মাঠে পড়ে থাকা পেরেক, গজাল, লোহা ও টিনের টুকরো, ছোট তারের অংশ সবই তুলে নেওয়া হয়েছে।’’ ননীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শান্তনু নন্দী বলেন, ‘‘প্রশাসনের উদ্যোগে কিছুদিন আগে মাঠে চুম্বক-তল্লাশি হয়। তাই কোনও সমস্যা হয়নি। তবে উৎসবের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দিতে হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy