কবে কী ছাপা হল, লিখতে হচ্ছে এই ফর্মে।নিজস্ব চিত্র
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কোনও নেতা-নেত্রী কুকথা বলছেন কিনা, তা দেখতে সভা-মিছিলের ভিডিয়োগ্রাফি করছে নির্বাচন কমিশন। শুধু মুখের কথা নয়, ফ্লেক্স-পোস্টারে ছাপার অক্ষরে আপত্তিকর কিছু থাকছে কিনা কমিশনের নজর রয়েছে সেখানেও।
একটা সময় আলতা এবং কাপড় কাচার নীল দিয়ে সাদা কাগজে ভোটের পোস্টার লেখা হত। পাশাপাশি কাপড়ের ব্যানার। তবে তাতে হাতে লিখে রং করে শুকোতে অনেক সময় লাগত, খরচও ছিল বেশি। আর তখন প্রার্থীদের ছবি এ ভাবে ছাপা সম্ভব ছিল না। এখন অবশ্য ভোট প্রচারে ফ্লেক্সেরই রমরমা। ব্যস্ত সেই সব ছাপাখানাতেই কড়া নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশন। কী ছাপা হচ্ছে, খরচই বা কত পড়ছে, সবই রয়েছে আতস কাচের নীচে।
ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে গঠন করা হয়েছে এক্সপেনডিচার মনিটরিং সেল, মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটিও। ওই সেলই এ সবে নজর রেখেছে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর। ওই সূত্র জানাচ্ছে, মেদিনীপুরে গত মাসে ছাপাখানার মালিকদের নিয়ে এক বৈঠক হয়েছে। সেখানে নির্বাচনী বিধি জানানো হয়। ছাপাখানার মালিকদের কী করণীয় তাও জানানো হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক উত্তম অধিকারী মানছেন, ‘‘ছাপাখানার মালিকদের নিয়ে বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সাধারণত ছাপাখানাগুলো দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে কিছু ছাপার জন্য অনুমতি নিয়ে রাখে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ফ্লেক্স-ফেস্টুনের বয়ানেও নজর রেখেছে কমিশন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কখনও কখনও এমন কিছু লেখা হয় যা থেকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই এই নজরদারি।’’
কোন প্রার্থীর সমর্থনে কত টাকার ফ্লেক্স, পোস্টার, লিফলেট ছাপা হচ্ছে, তা প্রশাসনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ছাপাখানার মালিকদের। প্রশাসন সূত্রে খবর, ছাপার তিনদিনের মধ্যে সব তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিন অন্তর দু’টি কাগজ জমা দিতে হচ্ছে। একটিতে ছাপখানার নাম, মালিকের নাম, সই থাকছে। অন্যটিতে কতগুলো, কী ছাপা হয়েছে, তা ছাপতে কত টাকা খরচ হয়েছে, সে সব তথ্য জানাতে হচ্ছে।
ভোটের খরচে নজরদারি চালাতেই এক্সপেনডিচার অবজার্ভার নিয়োগ করেছে কমিশন। প্রার্থীদের খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নিয়মমতো একজন প্রার্থী প্রচারে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। এটা দলের খরচ হিসেবে দেখানো যাবে না। এই খতিয়ান ঠিকমতো পেতেই ছাপাখানায় নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন।
ছাপার বয়ানে যাতে আপত্তিকর কিছু না থাকে, তা নিয়ে সতর্ক রাজনৈতিক দলগুলিও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘দলের ফ্লেক্স, ফেস্টুনে এমন কিছু লেখা হয় না যা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। এ দিকে আমাদের নজর রয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশেরও বক্তব্য, ‘‘সতর্কভাবেই প্রচারের বয়ান লেখা হচ্ছে।’’ কমিশনের বিধিনিষেধ নজরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন খানও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy