দাসপুরে মাইকে প্রচার পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
গোটা রেলশহরে লকডাউন কার্যকর করতে আজ, মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছে করোনা টাস্কফোর্স কমিটি। পাশাপাশি শহর-সহ দাসপুরের একটা বড় অংশে সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হল। ঘাটাল ব্লকেরও একটা বড় অংশ লকডাউন কার্যকর হয়েছে। ঘাটাল শহরে বিক্ষিপ্ত দুই এলাকায় আংশিক লকডাউন হবে।
ঘাটাল-দাসপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহকুমা প্রশাসন ঘাটাল-দাসপুর শহর সহ একটা বড় অংশে লকডাউন করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল জেলায়। একই সঙ্গে ক্ষীরপাই শহরও লকডাউন করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সোমবার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছেন জেলাশাসক। মহকুমাশাসক অসীম পাল বলেন, ‘‘পুরো দাসপুর শহর লকডাউন হবে। ঘাটাল ও ক্ষীরপাই শহরকে লকডাউনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, ঘাটাল শহরের কুশপাতার একাংশ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়ায় লকডাউন হবে। নতুন তালিকায় ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ-সহ প্রভৃতি এলাকায় ৩১ জুলাই অবধি লকডাউন থাকবে। এ দিন থেকে দাসপুর শহর পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর হয়েছে। একই সঙ্গে দাসপুর-১ ও ২ ব্লকের দাসপুর, সাগরপুর, বেলেঘাটা, খাঞ্জাপুর, বৈকুন্ঠপুর, সোনাখালি, গোপীগঞ্জ, চাঁইপাট, সেকেন্দারি-সহ দাসপুর থানার একটা বড় অংশ লকডাউন শুরু হয়েছে। ৩১ জুলাই অবধি সংশ্লিষ্ট এলাকায় লকডাউন কার্যকর থাকবে।
খড়্গপুর শহরেও ১৪ দিনের লকডাউনের পথেই এগোতে চলেছে প্রশাসন। মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “বিক্ষিপ্তভাবে লকডাউন করা কঠিন। তাই সারা শহরে লকডাউনের কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।” প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে টানা ১৪দিন আংশিক লকডাউন (গোটা শহরে সময় বেঁধে লকডাউন) কার্যকর করার ভাবনা ছিল কমিটির। তবে শহরে সংক্রমণের হার না কমায় সাতদিন পূর্ণ লকডাউন ও সাতদিন আংশিক লকডাউন করার পরিকল্পনাও হচ্ছে। আংশিক লকডাউন হবে দুপুরের পর থেকে। তবে সম্পূর্ণ লকডাউনের ক্ষেত্রে কী ভাবে পদক্ষেপ করা হবে তা বৈঠকে ঠিক করা হবে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “লকডাউন নিয়ে জেলার অনুমতির বিষয় রয়েছে। তবে লকডাউন হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy