দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরি। নিজস্ব চিত্র
এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য বছর তিনেক আগে হলদি নদী বাঁধের মোরাম রাস্তা পাকা করেছিল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। নন্দকুমারের নরঘাট থেকে ছয় ফুকার লকগেটগামী প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা পাকা হওয়ায় বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ হয়েছিল। কিন্তু নদীবাঁধের রাস্তা পাকা হওয়ার পরেই নরঘাট থেকে পশ্চিমদিকে কয়েক’শ মিটার দূরে একের পর এক অবৈধ বালি খাদান গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।
নরঘাট থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে হলদি নদীবাঁধের ধারে ৫-৬ টি বালিখাদান গড়ে উঠেছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। নদী থেকে যন্ত্রচালিত পাম্প ও পাইপলাইনের সাহায্যে বালি তুলে নদীতীরে গড়ে তোলা বালি খাদানে রেখে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ওই বালি লরিবোঝই করে নদীবাঁধের পাকা রাস্তা ধরে নরঘাট বাজারের কাছে নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়কে এসে ওঠে। সেখান থেকে পৌঁছে যায় জেলার বিভিন্ন স্থানে। এ ভাবে বিভিন্ন বালিখাদান থেকে প্রতিদিন একাধিক বালি বোঝাই ভারী লরি যাতায়াতের জেরে খানাখন্দ তৈরি হয়ে বেহাল হয়ে পড়েছে বাঁধের পাকা রাস্তা। ফলে ওই রাস্তায় সাইকেল, মোটরসাইকেল ও টোটোয় চেপে নরঘাট-সহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করা কয়েক হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যা নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ চরমে।
বৃহস্পতিবার সকালে বালি খাদান থেকে বালি বোঝাই একটি লরি ওই পাকা রাস্তা ধরে নরঘাটের দিকে আসার পথে সাঁতেরচক গ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা মেরে আটকে যাওয়ায় পুকুরে পড়া থেকে রক্ষা পায়। দুর্ঘটনার পরেই লরির চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে রাস্তার একাংশ ধসে যায়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ওই রাস্তায় ভারী লরি যাতায়াত বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। নন্দকুমার থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বালি বোঝাই লরিটি সরানোর ব্যবস্থা করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর তীরে গত এক-দেড় বছরের মধ্যে অবৈধভাবে একের পর এক বালি খাদান গড়ে ওঠায় এই গ্রামীণ সড়কে প্রতিদিন ভারী লরি যাতায়াত করছে। লরি থেকে ধুলো বালি উড়ে পড়ছে রাস্তায়। ভারী লরি যাতায়াতের কারণে রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়ে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটছে।
বাসিন্দাদের দাবি, এই সব বেআইনি বালি খাদান বন্ধ করার জন্য পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। বলাবাহুল্য, এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস বলেন, ‘‘নরঘাট এলাকায় বেআইনিভাবে বালি খাদান নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ এসেছে। কয়েকদিন আগেই এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।তদন্ত করে অবৈধ বালি খাদান চিহ্নিত করার পর সেগুলি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy