শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শুভেন্দুর মুখে এ বার জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আশ্বাসের সুর।
নন্দকুমার থেকে দিঘা হয়ে ওড়িশার জলেশ্বর পর্যন্ত রাজ্য সড়ককে জাতীয় সড়কে পরিণত করার জন্য জমি পেতে কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক অফিসে রেল, পূর্ত দফতরের আধিকারিক ও তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও পাঁশকুড়ার প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বৈঠকের পর নন্দকুমার-জলেশ্বর জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘নন্দকুমার-জলেশ্বর পর্যন্ত ১১৬ বি জাতীয় সড়কের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ হবে। ওই জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য আমরা সকলে সহযোগিতা করব। এখানে জমি কোন সমস্যা হবে না।’’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইতিমধ্যে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে। যেখানে অন্যান্য জায়গায় ডাবল লেনের কাজ হয়নি। আমাদের এখানে থার্ড লেনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। উন্নয়ন কাজের জন্য এখানে জমি কোন সমস্যা নয়।’’ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান করার কৃতিত্ব দাবি করে শুভেন্দুবাবু জানান, পাঁশকুড়া ও দেউলিয়াতে ( কোলাঘাটের কাছে ) জমি দিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের আপত্তি ছিল। কিন্তু আলোচনা করে তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়ক থেকে তমলুক স্টেশনগামী যে রাস্তা ব্যবহার করা হবে তা সম্প্রসারণ করার জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু রেল দফতরের জায়গায় ওই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করার জন্য তাঁদের অনুমতি না নেওয়ার কারণে রেল দফতরের তরফে আপত্তি জানানো হয়। ফলে ওই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেলের জায়গায় ওই রাস্তা সম্প্রসারণ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও তা না পাওয়ায় জটিলতা চলছিল। এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে ওই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার কথা জানান রেলের আধিকারিকরা। এছাড়াও পাঁশকুড়ায় ফ্লাইওভার, ভোগপুর স্টেশনের কাছে ফুট ব্রিজ, হলদিয়ার রানীচকে ফ্লাইওভার তৈরির জন্য রেল দফতর সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে।
শিশুমৃত্যু। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুতে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। অভিযোগ, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীর উপরে চড়াও হয় মৃতের পরিবার। তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। এর জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সমস্যায় পড়েন অন্য রোগীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামলায়। আমতার চন্দ্রপুরের মহিষগোহার বাসিন্দা সেখ আমিন হোসেন (২) বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাত পৌনে দশটা নাগাদ সে মারা যায়। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়েই শিশুটি মারা যায়। যদিও পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘একটি শিশুর মৃত্যুতে আমতা হাসপাতালে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে সমস্যা মিটে গিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy