প্রতীকী ছবি।
একটা সময় টালির ছাউনি দেওয়া ভাঙাচোরা বাড়িতে এসেছিলেন স্থানীয় নেতা-নেত্রীরা। মানসিক এবং আর্থিকভাবে পাশে থাকার ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরে সপ্তাহ গড়িয়ে মাস পার হয়েছে। প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ভাঙা বাড়িতে বসেই মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের জন্য লড়ছেন কোলাঘাটের পুলশিটা এলাকার নির্যাতিতার মা-বাবা।
মাস তিনেক আগে পুলশিটা এলাকার এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ছ’জনের বিরুদ্ধে। ওই রাতেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নির্যাতিতা। পরে সে হাসপাতালে মারা যায়। পুলিশ ঘটনার দুই মূল অভিযুক্তকে আড়াল করছে, এই অভিযোগে ৩০ অগস্ট সন্ধ্যায় মৃতের দেহ নিয়ে দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। তাতে সামিল হয় সিপিএম’ও। এর পরে পুলিশ মোট ছ'জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতেরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে।
ঘটনার কয়েকদিন পর মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল, কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন ঘড়া, সহ-সভাপতি রাজকুমার কুণ্ডুর মতো নেতা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, সে সময় বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাদের বাড়ি পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভাঙাচোরা বাড়ির মেরামতির জন্য অর্থ সাহায্যেরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সব প্রতিশ্রুতির কোনওটি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয়দেরও অভিযোগ, যে রাস্তার পাশে গণধর্ষণ করা হয়েছিল, সেই রাস্তাটি ঢালাই করে পথবাতি লাগানোর প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেনি প্রশাসন।
মৃত ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পর প্রশাসনের লোকজন অনেক কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা আজও কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি।’’ স্থানীয় বাসিন্দা অলোক বাগ বলেন, ‘‘এলাকার ওই রাস্তাটি এমনিতেই নির্জন। সন্ধ্যার পর কেউ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন না। তার পরে এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাস্তাটি ঢালাই করে পথবাতি লাগানোর প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ করলেন না প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
নির্যাতিতার পরিবারকে সাহায্য করা প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপনকুমার ঘড়া বলেন, ‘‘ওঁদের জন্য পাকা বাড়ির বিষয়টি আমাদের বৈঠকে পাস হয়েছে। সেটি যাতে দ্রুত মঞ্জুর হয়, তা দেখব।’’ রাস্তায় পথবাতি লাগানোর বিষয়ে কোলাঘাটের বিডিও বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই ওখানে পথবাতি লাগানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy