প্রতীকী ছবি
সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ক্ষুদ্র লগ্নি সংস্থার কর্মীর থেকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে রেলশহরে। প্রকাশ্যে গুলিও চলেছে। বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপট দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ। এবার ক্ষুদ্র লগ্নি সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলিকে নিরাপত্তা দিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলছে পুলিশ।
দিনকয়েক আগেই খড়্গপুরের এসডিপিও সুকোমল দাসের নেতৃত্বে ‘রোড ক্রাইম এসকর্ট’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। খড়্গপুর টাউন, খড়্গপুর গ্রামীণ ও নারায়ণগড় থানা এলাকায় কাজ করা ক্ষুদ্র অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতিনিধিদের ওই গ্রুপে যোগ করা হয়েছে। ওই তিন থানা এলাকার যে সংস্থাগুলি এখনও গ্রুপের বাইরে আছে, তাদের থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছে পুলিশ। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, নিয়মিত নাকা তল্লাশি চলছে। অপরাধীদের গ্রেফতার করাও হচ্ছে। খোলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও। নজরদারির জন্য যে সব পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে সেটা আমরা করছি।
খড়্গপুরের এসডিপিও সুকোমল দাস বলেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অধিকাংশ ক্ষুদ্র লগ্নি সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছে। যাঁরা এখনও যুক্ত হয়নি তাঁরা থানায় যোগাযোগ করতে পারেন।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসডিপিও পর্যায়ের পরে থানা পর্যায়েও আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ থানায় এখনও সেটি হয়নি। সোমবার খড়্গপুর টাউন ও ডেবরা থানায় ক্ষুদ্র লগ্নি সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৈঠক হয়। ডেবরায় গ্রুপও খোলা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি এই গ্রুপ নিয়ে পিংলা থানায় বৈঠক হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পিংলা থানা এলাকাতেই দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কীভাবে কাজ করবে? কোন সংস্থার কর্মী কোন এলাকায় টাকা সংগ্রহে যাচ্ছেন তার তালিকা ওই গ্রুপে প্রতিদিন সকালে দিতে বলা হয়েছে। পুলিশকর্মীরা সেই তালিকা অনুযায়ী ক্ষুদ্র লগ্নি সংস্থার কর্মীদের ‘এসকর্ট’ করছেন। নজরদারি চলছে তাঁর যাতায়াতের রুটেও।
খড়্গপুরের একটি ক্ষুদ্র অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মী সৌরভ ঘোষ বলেন, “যেভাবে বারবার ছিনতাই হচ্ছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। সম্প্রতি আমরা পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়েছি। তারপর কিছুটা নিরাপদ লাগছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy